পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন; পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে গৃহীত প্রকল্প
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর উভয় তীরে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ শীর্ষক এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫১.০২৯১ কোটি টাকা।
পদ্মা নদীটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পদ্মা নদীর প্রবেশমুখ হতে ফারাক্কা ব্যারেজের দূরত্ব মাত্র ১৮ কিলোমিটার। যার ফলে প্রতি বছর শত শত পরিবার তাদের ভিটামাটি, ফসলি জমি, বাজার, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, আমবাগানসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। পদ্মা নদীর মরফোলজিক্যাল পরিবর্তনের কারণে ও ফারাক্কা ব্যারেজের বিরূপ প্রভাবে গত দশ বছরে প্রায় ৩ কিলোমিটার নদীর ব্যাংক লাইন স্থানান্তরিত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম. আহসান হাবীব জানান, বর্তমানে পদ্মা নদীর বামতীরে ১১.১৫ কিলোমিটার এবং ডান তীরে ১৪.২০ কিলোমিটার; মোট ২৫.৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ব্যাপক নদী ভাঙন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে ২০২৩ সালে আইডব্লিউএম ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে। আইডব্লিউএম’র সুপারিশের আলোকে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর, মনাকষা ও পাঁকা এলাকায় পদ্মা নদীর বাম তীরে ৫.৭৪০ কিলোমিটার স্থায়ী নদী তীর সংরক্ষণ কাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর ডান তীরে ৩.০৯ কিলোমিটার সর্তকতামূলক নদী তীর সংরক্ষণ কাজ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় আলাতুলি প্রকল্পে পদ্মা নদীর বাম তীরে ০.৫০০ কিলোমিটার নদী তীর পুর্নবাসন কাজ অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবনাটি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পটির সম্ভাব্য মেয়াদকাল ধরা হয়েছে এ বছরের নভেম্বর হতে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫১.০২৯১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ৯.৩৩ কিলোমিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত

অংশে পদ্মা নদীর উভয় তীরে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নদী ভাঙন রোধ হবে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ রক্ষা পাবে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, জাইটপাড়া, কানছিড়া ও দুর্লভপুর ইউনিয়নের ঝাইলপাড়া, আইয়ুব বিশ্বাসের ঘাট, ফিল্ডের বাজার পাঁকাঘাট, দোভাগী নামোজগন্নাথপুর এলাকার ভাঙন পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শাব্বির আহমদ। এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. আহসান হাবীব, পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ও দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাইদুর রহমানসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।