পরাজয়েও লিখা হলো বিজয়ের ইতিহাস
বাংলাদেশ নারী ফুটবলে নতুন এক অধ্যায় রচিত হলো মাত্র ৩৮ দিনের ব্যবধানে। সিনিয়র জাতীয় দলের পর এবার অনূর্ধ্ব-২০ মেয়েরা এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে, যা দেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটলো। ‘অনূর্ধ্ব-২০ নারী এএফসি এশিয়ান কাপ-২০২৫’ বাছাইপর্বে ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ রোববার বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায়। কিন্তু বিরতির পর খেই হারিয়ে ৬-১ ব্যবধানে হার মানে। অথচ এই ম্যাচে কোনক্রমে ড্র করতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবার যুব এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিতে পারত। কিন্তু বড় ব্যবধানে হার মানায় তাতে হতাশ হয় বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। আর বাংলাদেশের ভাগ্য ঝুলে যায় সমীকরণের হাতে। তবে হতাশার মধ্যেও সুখবর এসেছে। আট গ্রুপের আটটি চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে তিনটি সেরা রানার্স-আপ দলও জায়গা পাবে মূলপর্বে। সেই তিনটি রানার্স-আপ দলের একটি হয়েছে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট ও +৫ গোল গড় নিয়ে সেরা তিন রানার্স-আপদের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে তৃতীয় স্থানে। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে। গত মাসে মিয়ানমারকে হারিয়ে সিনিয়র নারী দল এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিত করে, যা ছিল এক যুগান্তকারী অর্জন। সেই অনুপ্রেরণায় অনূর্ধ্ব-২০ দলও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে জায়গা করে নিলো থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য আসরের মূল পর্বে। এই দুই অর্জন শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রার প্রতীক। সিনিয়র দল মার্চে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে লড়বে, আর অনূর্ধ্ব-২০ দল থাইল্যান্ডে নিজেদের প্রথম এশিয়ান কাপ অভিষেকের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।