‘পদ্মাবতী’র মুক্তি আটকাতে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি

280

ভারতের রাজপুত ইতিহাসকে রক্ষা করতে ‘পদ্মাবতী’র মুক্তি আটকে দেওয়া হোক। এমন আরজি জানিয়ে এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠাল উদয়পুরের রাজ পরিবার। উদয়পুরের মেওয়ারের রাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য এমকে বিশ্বরাজ সিং মোদির পাশাপাশি এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও সিবিএফসি প্রধান প্রসূন যোশীকেও। তাঁর একটিই আবেদন, পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালির ড্রিম প্রজেক্ট ‘পদ্মাবতী’র মুক্তি আটকে দেওয়া হোক। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, মানব সম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং এসপি-র কাছেও একই অনুরোধ জানিয়েছে ওই রাজ পরিবার। চিঠিতে বিশ্বরাজ সিং উল্লেখ করেছেন, দেশের নাগরিকদের স্বার্থে এ দেশের ইতিহাসকে সংরক্ষিত করা, তা যে কোনওভাবেই বিকৃত না হয়, সেসব দেখার দায়িত্ব তো সরকারেরই।
তাই আমাদের অনুরোধ এ ছবি মুক্তিতে যেন অনুমতি না দেওয়া হয়। কিছু দিন আগেই বনশালি একটি ভিডিওর মাধ্যমে জানান, তাঁর ছবিতে কোনওভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়নি। রানি পদ্মাবতীর কথাই তুলে ধরা হয়েছে। তবে তাতেও মন গলেনি রাজ পরিবারের। বিশ্বরাজ সিং বলছেন, রানি পদ্মিনীর ইতিহাসের সঙ্গে মেওয়ারের পরিবারও যুক্ত। কিন্তু ছবির নির্মাতারা কেউই সে ইতিহাস জানতে আমাদের পরিবারের কাছে আসেনি। আর সেই কারণেই এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। পাশাপাশি সুফি কবির কাল্পনিক কবিতা ‘পদ্মাবত’ও যে এই ছবির কাহিনিতে রং চড়িয়েছে, সে সন্দেহও মুছে ফেলা যাচ্ছে না। ছবির ‘ঘুমর’ গানেও ইতিহাস বিকৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশ্বরাজের সংযোজন আর একবার ছবিটি মুক্তি পেলে ইতিহাসকে রক্ষা করার আর কোনও উপায় থাকবে না। এর সঙ্গে রাজ পরিবারের আবেগ ও সাধারণ মানুষের বিশ্বাস জড়িয়ে আছে। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হল।