পঞ্চমবারের মতো, শুরু হলো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ

303

টানা পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-বেসিস, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ এর আয়োজন করেছে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের পার্টনার হিসেবে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনস্থ স্কিল ডেভলোপমেন্ট ফর মোবাইল গেম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্প, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবি। সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে গোল্ড স্পন্সর ই-ভ্যালি এবং ইন্টারনেট পার্টনার আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৭৩টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যেখানে বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্রগ্রাম সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করেছে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।

এবার ৯টি শহর থেকে ৪ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে শীর্ষ ৪৫টি প্রকল্পকে নিয়ে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবি-তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৯-২০ অক্টোবর টানা দুই দিনব্যাপী হ্যাকথন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম। উপস্থিত ছিলেন নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান, আইডিইবি-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৯ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, গত বছর বাংলাদেশকে মোট ৯টি জোনে বিভক্ত করে দুই হাজারেরও বেশি আবেদন গ্রহণ করা হয় যার মধ্য থেকে ৪০টি প্রকল্প হ্যাকথনের জন্য মনোনীত করা হয়। ৮টি প্রকল্প নাসার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো ১৩৯৫টি দলকে হারিয়ে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করে নেয় বাংলাদেশ। বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে শীর্ষ চারে স্থান করে নেওয়া ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের দলকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় সিলেট থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দল ‘টিম অলিক’। এ বছর নাসার আমন্ত্রণে টিম অলিক গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নদের জন্য আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। পাশাপাশি, এবার ৯টি শহর থেকে ১৮টি দলকে নাসার জন্যে মনোনীত করা হবে। এবার আমরা আরো ভালো কিছু করার জন্যে প্রস্তুত।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান বলেন, মহাকাশ এর বিভিন্ন সমস্যার বাইরে জলবায়ু, চাঁদ, অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্র সহ ৫ টি ক্যাটাগরির অধীনে মোট ২১টি সাব ক্যাটাগরিতে এবার হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাটাগরি ভিত্তিক এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করবে আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা। গত ৫ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেক ভালো, আশা করছি ২০১৯ তে আমাদের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হবে।

৩৬ ঘন্টা টানা হ্যাকথন আয়োজনের পর ২০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আইডিইবি-এর মুক্তিযোদ্ধা হল-এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।