নড়বড়ে নব্বইয়ের ‘গিট্টুতে’ আটকে তামিম

77

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১তম টেস্ট খেলতে নেমে আবারও শিকার নার্ভাস নাইন্টিজের। পাল্লেকেলেতে প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করা তামিম দ্বিতীয় ম্যাচে থামলেন ৯২ রানে। নড়বড়ে নব্বইয়ের গিট্টু খুলতে পারছেন না বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

পরিসংখ্যান বলছে, ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে মোট ছয়বার তামিম আউট হয়েছেন নব্বইয়ের ঘরে। ২০১৩ সালে ঢাকা টেস্টে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৯৫। ওয়ানডেতে এই আক্ষেপে পুড়েছেন তিনবার, প্রত্যেকবারই ৯৫ রানে। ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ে, ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তামিম আউট হন সেঞ্চুরি থেকে পাঁচ রান দূরে থাকতে। টেস্টে এই আক্ষেপ ছিল সেই ৮ বছর আগে, কিন্তু শ্রীলঙ্কায় গিয়ে টানা ম্যাচে আটকে গেলেন নব্বইয়ের ‘গিট্টুতে’।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৯৬ বলে ১১ বাউন্ডারিতে তামিম করেছিলেন ৭০ রান। দ্বিতীয় সেশনে ফিরে সতর্ক হয়ে এগোলেন। সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত দ্রুত আউট হওয়ায় বাড়তি ঝুঁকি নেননি। শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের আক্রমণও ছিল নিখুঁত। শেষমেশ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তামিমের দ্যুতিময় ইনিংসটি। বাঁহাতি স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমা রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বোলিংয়ে এসে তুলে নেন তার উইকেট। ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন লাহিরু থিরিমান্নেকে। ১৫০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯২ রান করে সাজঘরের দীর্ঘ পথ ধরেন দেশসেরা এ ওপেনার।

তামিমের বিরতির আগে ও পরের ইনিংস ছিল আকাশপাতাল পার্থক্য। ৯৬ বলে ৭০ রান তোলা তামিম পরের ২২ রান তুলেছেন ৫৪ বলে। এ সময়ে বাউন্ডরি মেরেছেন মাত্র একটি। সেটাও বিরতির পর প্রথম ওভারেই। এরপর নিজেকে গুটিয়ে নেন।

বিরতির আগে স্পিন ও পেসে তামিম ছিলেন সমান সাবলীল। স্পিনারদের বিপক্ষে পায়ের কাজ দেখান দারুণভাবে। এগিয়ে এসে কভার ড্রাইভ, ইনসাইড আউট শটে লং অফ ও অন দিয়ে বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছেন চোখের পলকে। সুইপ শটে উইকেটের পেছন থেকেও বাউন্ডারি আদায় করেছেন অনায়াসে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তামিমের সর্বোচ্চ রান। আগের ১০ টেস্টে সর্বোচ্চ রান ছিল ৯০, যা করেছিলেন পাল্লেকেলেতে আগের ম্যাচেই। ওই ম্যাচেও নার্ভাস নাইন্টিজে গিয়ে নিজের ভুলে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে।

ক্যারিয়ারের ৯ টেস্ট সেঞ্চুরির সর্বোচ্চ তিনটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এছাড়া ভারত, নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি করে এবং দ্বিতীয় সর্বাধিক দুটি সেঞ্চুরি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।