নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচেই গোলের দেখা পেয়েছিলেন মিরাজুল ইসলাম। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও এই ফরোয়ার্ড ফ্রিকিকে করলেন চোখ ধাঁধানো গোল। বাংলাদেশের ব্যবধান বাড়ানোর গোলটাও করলেন তিনিই। এরপর নেপালের জালে বল পাঠালেন রাব্বী হোসেন রাহুল ও পিয়াস আহমেদ নোভা। আর তাতেই নেপালে আরেকবার উড়ল লাল-সবুজের পতাকা। স্বাগতিক দলকে ৪-১ গোলে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ সাফের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। গত আসরে ফাইনালে স্বপন ভঙ্গ হলেও এবার শিরোপা নিয়েই ফিরছেন যুবারা। কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে আজ বুধবার বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ।
শুরুতেই দারুণ সুযোগ পেয়েও অবশ্য কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ফরোয়ার্ডরা। নেপালের রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে বল পেয়ে যান মিরাজুল ইসলাম, পাশেই ফাঁকায় থাকা রাব্বী হোসেন রাহুলের দিকে ঠেলে দেন মিরাজ, সেই বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়লেও রাহুল শট নেওয়ার আগেই তা ক্লিয়ার করে দেন নেপালের এক ডিফেন্ডার। নেপালও দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে হানা দেয় বাংলাদেশের রক্ষণে। অষ্টম মিনিটে গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফের দারুণ দক্ষতায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ।
বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে নিরাজন ধামীর দূরপাল্লার শট লাফিয়ে হাতের ছোঁয়ায় বল বাইরে ঠেলে দেন আসিফ। ২১ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে নেপাল। বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বক্সে ঢুকে পরেন নিরাজন, তাঁর বাড়ানো পাস একদম ফাঁকায় পেয়েও ঠিকমত শটই নিতে পারেননি অবিনাশ। এরপর ঢিমেতালে চলতে থাকে খেলা। বিরতিতে যাওয়ার আগেই বাংলাদেশ শিবিরে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দের মুহূর্ত এনে দেন মিরাজুল ইসলাম।
তাঁর ডান পায়ের চোখ ধাঁধানো ফ্রিকিক পোস্টে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মারুফুল হকের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ৫৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলও পেয়ে যায়। আসাদুল ইসলাম সাকিবের লং পাসে দূরের পোস্টে থাকা আসাদুল মোল্লার হেড পাস থেকে হেডেই লক্ষ্যভেদ করেন মিরাজুল। ম্যাচের ভাগ্য হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে। আসরে মিরাজুলের এটি চতুর্থ গোল, যা সর্বোচ্চ।
নেপালের ওপর চাপ ধরে রেখে ৭১ মিনিটে বাংলাদেশ পেয়ে যায় তৃতীয় গোল। মিরাজুলের বাড়ানো পাসে নিখুঁত ফিনিশিং করেন রাব্বী হোসেন রাহুল। ৮১ মিনিটে সামির তামাং জাল খুঁজে নিলে এক গোল পরিশোধ করে নেপাল। তাতে কিছুটা আশা দেখলেও স্বাগতিকরা আর পারেনি। বরং যোগ করা সময়ে রাহুলের ক্রসে পিয়াস আহমেদ নোভা বল জালে পাঠালে শিরোপা উদযাপনে মাতোয়ারা হয় বাংলাদেশের যুবারা।