নির্বাচন ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা 

সামরিক বাহিনী পরিচালিত আসন্ন নির্বাচন ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। বুধবার দেশটির জান্তা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের বরাতে জান্তা সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী টুন টুন নাউং জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে মোট ২২৯ জনের বিরুদ্ধে নতুন আইনের আওতায় মামলা করা হবে।

মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো বলছে, ভিন্নমত দমন করতেই এই আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাদের মতে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী কণ্ঠ দমন করাই জান্তার মূল উদ্দেশ্য।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে জান্তা সরকার। এই ভোটকে তারা ‘জাতীয় পুনর্মিলনের পথে একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে তুলে ধরছে।

তবে বাস্তবতায় বিরোধী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই নির্বাচন আয়োজন কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিরা এই নির্বাচনকে সামরিক শাসন দীর্ঘায়িত করার কৌশল হিসেবে দেখছেন এবং তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

উল্লেখ্য, আসন্ন নির্বাচনকে ‘বাধা, বিঘ্ন ও ধ্বংস’ থেকে রক্ষার অজুহাতে চলতি বছরের জুলাইয়ে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন করে জান্তা সরকার। ওই আইনে নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করা বা নির্বাচনবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।