নির্দোষ প্রমাণিত ম্যারাডোনা

56

কর ফাঁকির অভিযোগ করা মামলা শেষ পর্যন্ত আদালত জানান, ম্যারাডোনা নির্দোষ ছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে নেপলসে থাকাকালে কখনোই কর ফাঁকি দেননি তিনি। রায়ের পর তার আইনজীবী অ্যাঞ্জেলো পিসানি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এটা শেষ হলো। আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, ম্যারাডোনা কখনোই কর ফাঁকি দেননি। ডিয়েগো ম্যারাডোনা পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন প্রায় তিন বছরেরও বেশি। কিন্তু তার মৃত্যুরও ২৭ বছর আগে চালু হওয়া এক মামলার ফলাফল আসতে সময় লেগেছে একে একে ৩০ বছর। ইতালির আদালতে তিন দশক চলা সেই মামলা অবশেষে নির্দোষ প্রমাণ হলেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি। ম্যারাডোনাকে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে। ফুটবল মাঠে বল নিয়ন্ত্রণ করে নিজের এবং অন্যদের গোল করার সুযোগ তৈরির অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তার। আর্জেন্টিনা জাতীয় দল, ইতালি এবং স্পেনের বিভিন্ন ক্লাব দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তার নেতৃত্বে। ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত নাপোলিতে থাকা অবস্থায় তিনি লিখটেনস্টাইনের প্রক্সি কোম্পানি ব্যবহার করে ক্লাবের কাছ থেকে পাওয়া ইমেজ স্বত্বের কর ফাঁকি দিয়েছিলেন। এরপর ১৯৯৩ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত টানা চলতে থাকে বিচারিক কার্যক্রম। যদিও শেষ পর্যন্ত এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অবশ্য ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি অভিযোগে তদন্ত শুরু হয় ১৯৯০ সালে। মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগও পরবর্তীকালে সামনে আনা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় ইতালি সফরকালে ম্যারাডোনার বেশ কিছু সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালে ২৫ নভেম্বর মারা যান ম্যারাডোনা। এরই মধ্যে তার মৃত্যুর তিন বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে। তবু থামেনি মামলার কাজ। ২০২৩ সালে এসে অবশেষে নিষ্পত্তি হলো সবকিছুর। ১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা থেকে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে আসেন ম্যারাডোনা। তার হাত ধরেই রাতারাতি বদলে যায় নেপলস শহরের ক্লাবটি। ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০ সালে নাপোলিকে লিগ শিরোপা এবং ১৯৮৮-৮৯ সালে উয়েফা কাপ জেতান এই কিংবদন্তি।