নিখোঁজের একদিন পর মহানন্দা নদীতে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

109

গোমস্তাপুরে নিখোঁজের একদিন পর সোহাগী খাতুন নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ সকালে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নসিবন্দিনগর গ্রাম সংলগ্ন মহানন্দা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত শিশুটির পিতার নাম জামিরুল ইসলাম। তার মায়ের সঙ্গে নানা মাইদুল ইসলামের বাড়ি ওই গ্রামে বেড়াতে আসেন সোহাগী। মহানন্দা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা যায় সে। ফায়ারসার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বিকেল থেকে সোহাগীকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে। পরে নদীর ঘাটে তার গামছা দেখতে পান। একপর্যায়ে ধারণা করেন সোহাগী নদীতে ডুবে গেছে। পরিবার লোকজন দ্রুত উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে। সন্ধ্যার পর অন্ধকারের জন্য তাদের উদ্ধার কাজ শেষ করে এবং রাজশাহী থেকে ডুবুরি দলকে খবর দেয়। রাত হওয়ার পরের দিন আজ সকালে ডুবুরি এসে স্থানীয় ফায়ারসার্ভিসের সহযোগিতার মহানন্দা নদী থেকে সোহাগীর মরদেহ উদ্ধার করে। উপজেলা ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা রাকিবউদ্দীন বলেন, রবিবার সকালে ডুবে যাওয়া শিশু সোহাগীকে মহানন্দা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের লোকজনের কাছে তার মরদেহ তুলে দেওয়া হয়। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ, শিশুটির প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে বলে ওসি জানান।