নাজনীন হাসান খান নেপালে তিন নাটক নির্মাণ করলেন
জনপ্রিয় নির্মাতা নাজনীন হাসান খানের পরিচালনায় ও রাজীব মণি দাসের রচনায় নেপালের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়িত হয়েছে তিনটি বিশেষ নাটক। নেপালে নির্মিত নাটকগুলো হলো- ‘হানিমুন’, ‘ভালোবাসার অন্তর্ধান’, ও ‘প্যারায় আছে দুলাভাই’। এর মধ্যে অন্যতম কমেডি ঘরানার নাটক ‘প্যারায় আছে দুলাভাই’। হিমালয় কন্যা নেপালের নান্দনিক দৃশ্যের সাথে পারিবারিক মান-অভিমান ও হাস্যরসের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাটকটির নাটকের কাহিনিতে দেখা যায়, দুলাভাই তার স্ত্রী, শ্যালক ও শালিকাসহ সদলবলে নেপালে বেড়াতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও স্ত্রীর শাসন থেকে তার রেহাই মেলে না। সামান্য উনিশ-বিশ হলেই স্ত্রী রেগে যান, যা দুলাভাইয়ের জন্য চরম অস্বস্তির বা ‘প্যারা’র কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরিস্থিতির চরম পর্যায়ে দুলাভাই হঠাৎ নিখোঁজ হন। নাইটক্লাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন বারে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায় না। একপর্যায়ে গাইডের কথায় পরিবারের ধারণা হয়, সংসারের প্যারা সইতে না পেরে দুলাভাই হয়তো সন্ন্যাসী হতে হিমালয়ে চলে গেছেন। স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে স্ত্রী হিমালয়ের পথে হাঁটা ধরেন, কিন্তু ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসেন। গল্পের শেষে দেখা যায় এক মজাদার টুইস্ট। সারাদিন সবাই যাকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে, সেই দুলাভাই আসলে হোটেল রুমেই ঘুমাচ্ছিলেন। চিলে কান নিয়েছে শুনে কানে হাত না দিয়েই চিলের পেছনে ছোটার মতো এক হাস্যকর পরিস্থিতির অবতারণা হয় এই নাটকে। এর মাঝেই দুলাভাইকে খুঁজতে গিয়ে বেয়াই ও বেয়াইনের মধ্যে গড়ে ওঠে মধুর প্রেমের সম্পর্ক। পরিচালক নাজনীন হাসান খান বলেন, ‘নেপাল যেন পটে আঁকা ছবির মতো সুন্দর। এখানকার লোকেশনের বৈচিত্র্য এবং স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা শুটিংয়ের জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করেছে’। দর্শকদের নির্মল বিনোদন দিতেই নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।