নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয় জ্ঞান জ্যোতির আলোয় আলোকিত। আনন্দ উচ্ছ্বাস আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছিল মুখরিত। ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জনকারী ৯ কৃতী শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জন বোর্ড বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা এবং শিক্ষা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় দুজন শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান করতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, শিক্ষার্থীদের অধ্যাবসায় এবং অভিভাবকদের সহযোগিতা— এই তিনের সমন্বয়ে আসা অভাবনীয় সাফল্যকে উদ্যাপন করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
রবিবার বিকেলে বিদ্যালয় চত্বরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এছাড়া শিক্ষা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় আইসিটি শিক্ষক নাজনীন খাতুন ও বিজ্ঞান বিভাগের খাদিজা খাতুনের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
অপরদিকে সমাজসেবক আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য প্রতি বছর টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম তিনজন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে থাকেন। তার এই ভালো কাজের জন্য তাকে স্বীকৃতি সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম সূচনা বক্তব্যে বলেন, এই শিক্ষার্থীরা শুধু বিদ্যালয়ের নয়, তারা আমাদের নাচোল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গর্ব। তাদের এই অর্জন প্রমাণ করে যে, কঠোর পরিশ্রম ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে যে কোনো বাধাই পেরোনো সম্ভব। তিনি আরো বলেন, এই সাফল্য আগামী বছরের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— শিক্ষানুরাগী আব্দুল আওয়াল খান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন— নাচোল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওবাইদুর রহমান ও সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল উদ্দিন খান।
সংবর্ধনাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কৃতী শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকদের নিয়মিত তদারকি ও বাড়তি যত্নের কারণেই তারা এই ফল অর্জন করতে পেরেছে। তারা বলেন, ভবিষ্যতেও আমরা যেন ভালো কিছু করে বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি, সেই প্রচেষ্টা থাকবে।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।