নাচোলে ৬ শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষা অনিশ্চিত

307

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এক প্রধান শিক্ষকের কারণে ৬ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পয়েছে। ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষা দিতে বিড়ম্বনায় পড়েছে ওই শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা চত্বরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দাবিতে ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য শিক্ষার্থীদের আশ্বাস প্রদান করেছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগপত্রে জানাগেছে, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মাধবপুর স্কুল থেকে ২০১৭ সালে জেএসসি পরীক্ষায় পাস করে ৬ শিক্ষার্থী। ৬জনের মধ্যে ৪জন ছাত্রী ২০১৮/’১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয় উপজেলার মুসলিমপুর গার্লস একামেীতে ও ২জন ছাত্র ভর্তি হয় পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রশংসাপত্র, প্রবেশপত্র, বিদ্যালয় পরিত্যাগের ছাড়পত্র, নিবন্ধনপত্র ও নম্বরপত্রের জন্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা বিগত ২বছর যাবত ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউরের নিকট ধর্না দিয়েও শেষ পর্যন্ত কাগজপত্র পায়নি বলে উপজেলা নির্বহী অফিসার ও স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেছে। তারা আরো অভিযোগ করেন ২০২০সালের এসএসসি পরীক্ষার নিবন্ধন করতে ওই সব কাগজপত্র না থাকায় ভূক্তোভূগী শিক্ষার্থীরা ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। তাই বাধ্য হয়ে গত ১৬ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ওইসব কাগজপত্র সরবরাহের দাবিতে আবেদন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওই ৬ শিক্ষার্থী কাগজপত্র পাওয়ার দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানার নিকট তাদের দাবী সম্পর্কে অবহিত করে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা হলো, সিংরইল গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে লিজা খাতুন, একই গ্রামের জগদিস চন্দ্র বর্মনের মেয়ে তমা রানী, ও তহরুল ইসলামের মেয়ে তাসলিমা খাতুন, আমলাইন গ্রামের দুরুল হোদার মেয়ে রেহেনা খাতুন, টাকাহারা গ্রামের জাম বাবু রায় এর ছেলে সুবাস রায়, ও একই গ্রামের জয়দেব ঘোষের ছেলে প্রসেনজিৎ ঘোষ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা জানান, ১৬ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের আবেদন পেয়েই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহের জন্য ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নিদের্শ দিয়েছেন। এবিষয়ে মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ওই ৬ শিক্ষার্থী আমার স্কুলে লেখাপড়া করেছে। তারা তাদের কাগজপত্র আমার নিকট থেকে কোনদিন নিয়ে যায়নি। আমি ওই শিক্ষার্থীদের ২০২০ সালের এসএসসির নিবন্ধনের জন্য রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়েছি। ৬শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা অভিযোগে জানান, বিগত ২বছর ধরে হেড মাস্টার সাহেবের নিকট ঘুরেও ছেলেমেয়েদের কাগজপত্র পায়নি। এদিকে মুসলিমপুর গার্লস একাডেমীর প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলেউদ্দীন জানান, তাঁরাও মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানকে ওই ছাত্রছাত্রীর কাগজপত্র চেয়ে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু উনি সময়মত কাগজপত্র সরবরাহ করেননি তাই ওই ৬ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ২০২০সালে পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতান বলেন ছাত্রছাত্রীদের আবেদন পেয়ে ওই শিক্ষককে কাগজপত্র সরবরাহের জন্য নির্দেশ প্রদান কারা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।