নাচোলে ৩দিনের ব্যবধানে ৮টি গরু চুরি

নাচোল উপজেলায় ৩ দিনের ব্যবধানে ৮টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গরুগুলির আনুমানিক মূল্য অন্তত: সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নাচোল পৌর ৬ নং ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ও শিমুলতলা মহল্লার মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে সানাউল্লার বাড়ি সংলগ্ন গোয়ালঘরের দরজার তালা কেটে ৫টি গরু চুরি হয়। এর আগে গত ১১ নভেম্বর ভোররাতে নেজামপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পঁচাকান্দর মৌজার শুঁড়িপুকুর গ্রামে কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের মাটি নির্মিত গোয়ারঘরের জানালা ভেঙ্গে ৩টি গরু চুরির হয়।
সাবেক কাউন্সিলর সানাউল্লাহ বলেন, রাত ১টা পর্যন্ত গরুগুলি ছিল। কিন্তু রাত ২টার দিকে গোয়ালঘরে গিয়ে আর গরু পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে,৮/১০ জনের একটি চোরচক্র একটি পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করে গরুগুলি নিয়ে যায়। বাচ্চাসহ একটি দুধের গাইসহ গরু ৫টির মূল্য অন্তত: সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। নিকটের মডেল মসজিদের সিসিটিভি ক্যামেরায় গরু চুরি করে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাবার কিছু আবছা দৃশ্য দেখা গেছে। সানাউল্লাহ আরও বলেন, এ ঘটনায় রাতেই নাচোল থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। সকালে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁরা নিজেরাও গরুগুলো খুঁজছেন। তবে এ ব্যাপারে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি। গোয়ালে ৬টি গরু থাকলেও একটি গরু চোর নিতে পারে নি। নেজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ভোররাতে কৃষক রাজ্জাকের বড় তিনটি গরু চুরি যায়। গরুগুলোর মূল্য-৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন,সানাউল্লার গরু চুরির ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নেজামপুরের ঘটনায় মামলা না হলেও অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে। নেজামপুরের ঘটনায় চোরচক্র মিনি ট্রাক ব্যবহার করে ও মাটির গোয়ালঘর ভেঙ্গে গরু নিয়ে যায়। তবে দুটি ঘটনা একই চোরচক্রের কিনা তা চোর না ধরা পর্যন্ত বলা যাবে না বলেও জানান ওসি।