নাচোলে মদ্যপ স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, স্বামী আটক
নাচোলে উপজেলায় পাবিারিক কলহের জেরে মদ্যপ স্বামী গনেশ বাঁশফোড়ের লাঠিপেটায় স্ত্রী আাঁখি রানী খুন হয়েছেন। এঘটনায় পুলিশ স্বামী গনেশ বাঁশফোড়কে আটক করেছে। আজ দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। গনেশ নাচোলের নেজামপুর ইউনিয়নের মুসলিমপুর গ্রামের মৃত জগেন বাঁশফোড়ের ছেলে। নিহত আঁখি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ১ নং সুইপার কলোনির হাবল জামাদারের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বাড়িতে মদ্যপ স্বামীর লাঠিপেটায় হাতসহ বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন আঁখি। এঅবস্থায় গনেশ স্ত্রীকে গোপনে গোমস্তাপুর উপজেলার আড্ডা গ্রামে নিজ বড়ভাই বাবলু ভগতের বাড়ি নিয়ে যায় ও গোপনে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করায়। কিন্তু আঁখির অবস্থার অবনতি হলে গতকাল দুপুরের দিকে তাঁকে মিথ্যা ঘটনা বলে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে আঁখির মৃত্যু হয়। এরপর গনেশ মরদেহ হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে নাচোলে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ও নিজে আত্মগোপণে যাবার চেষ্টা করে।
নাচোল থানা পুলিশ ঘটনা জানতে পেরে আজ ভোররাতে গণেশের বাড়ি থেকে আঁখির মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এছাড়া ভোররাতেই গোমস্তাপুরের রহনপুর পৌর এলাকায় অবস্থিত গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহায়তায় গনেশকে গ্রেপ্তার করে।
নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আঁখির ভাই মধু মঙ্গল জামাদার আজ ভোরে গনেশ,তাঁর প্রথম স্ত্রী বেলী, বেলির ঘরের ছেলে ও আঁখিকে গোমস্তাপুর নিয়ে যাওয়া ও মরদেহ নিয়ে আসা হৃদয় বাঁশফোড় এবং ভাই ভগত সহ ৪ জনের নামে মামলা করেছেন। ওসি আরও বলেন, ঘটনায় জড়িতরা পরিচ্ছন্নতা কর্মী। আঁখি গনেশের চতূর্থ স্ত্রী। তাঁর প্রথম স্ত্রী সংসার করছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়েছে। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে ও অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।