নাচোলে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও শ্রমিক সর্দারকে মারধর এবং সরকারি কাজে বাধাদান মামলার প্রধান আসামী ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবুকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় নাচোল থানা পুলিশ তাকে রাজশাহী শহর থেকে আটক করে। গত ১৪ জুন রাজশাহীতে আকষ্মিক এক সফরে এসে এদিন সন্ধ্যায় নাচোলে খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুজ্জামান, রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভুইয়া, নাচোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক, নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মেদ, নাচোল খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউর রহমান, উপ-খাদ্য পরিদর্শক মাসুদ রানা ও ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবুসহ খাদ্যগুদামের শ্রমিকগণ। খাদ্যগুদাম পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী মহোদয় ক্যাম্পাস ত্যাগ করার পরপরই নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক এবং নাচোল খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই উপ-খাদ্য পরিদর্শক মাসুদ রানা এবং খাদ্যগুদামের শ্রমিক সর্দার মজিবুর রহমানকে অফিস থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে বেধড়ক মারধর করে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু ও তার সহযোগীসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন দুর্বৃত্ত। নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা ও উপজেলা খাদ্য গুদামের ওসি এলএসডি সফিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এঘটনায় খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউর রহমান বাদী হয়ে নাচোল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিমকে প্রধান আসামী এবং তার সহযোগী মিঠনসহ আরও ৫/৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে ১৫ জুন নাচোল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে নাচোল থানার অফিসার ইন্চার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মেদ জানান, মামলা দায়েরের পর এজাহারনামীয় আসামীদেরকে আটকে পুলিশি তৎপরতার মধ্যেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগীতায় রাজশাহী শহর থেকে একাধিক মামলার প্রধান আসামী রেজাউল করিম বাবুকে আটক করে আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
