নাঈম শেখের সেঞ্চুরিতে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হলো খুলনা টাইগার্স। নাঈম শেখ ঝড় তুললেন, করলেন সেঞ্চুরিও।বড় রান তাড়ায় নেমে রংপুর রাইডাের্সের ব্যাটাররা খেই হারালেন। একা সৌম্যর লড়াই কাজে আসেনি শেষ অবধি। আজ বিপিএলের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৪৬ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান করে খুলনা। সেই রান তাড়ায় নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর। ১১ ম্যাচে পঞ্চম জয় নিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে খুলনা টাইগার্স। প্রথম ৮ ম্যাচ জেতা রংপুর লিগ পর্বে নিজেদের শেষ চার ম্যাচেই হারলো।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল খুলনা টাইগার্স। চতুর্থ ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ১২ বলে ২১ রান করে মাহেদী হাসানের বলে আকিফ জাভেদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপরের গল্পটা নাঈম শেখের। সবশেষ এনসিএল টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পান সেঞ্চুরির দেখা। বিপিএলেও এখন অবধি তার রানই সবচেয়ে বেশি। এবারের বিপিএলের অষ্টম সেঞ্চুরি করা নাঈম শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন। ৬২ বলের ইনিংসে ৭ চার ও ৮ ছক্কায় ৬২ বলে ১১১ রান করেন নাঈম। এর সঙ্গে খুলনার হয়ে উইলিয়াম বসিস্তো ৩১ বলে ৩৬ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১৫ বলে ২৯ রান করেন। রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তৌফিক খান তুষার আউট হয়ে যান। ৮ বলে ৯ রান করে নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যান তিনি। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে রান আউট হন ৯ বলে ৬ রান করা সাইফ হাসান।

মাঝে ১৫ বলে ১৯ রান করে ইফতেখার আহমেদ ও ১৪ বলে ২৭ রান করে মাহেদী হাসান আউট হন। রংপুরের হয়ে লড়াই চালিয়ে যান সৌম্য সরকার। তার এই চেষ্টার সমাপ্তি ঘটে শেষ ওভারে গিয়ে। ৪৮ বলে ৭৪ রান করে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এছাড়া রংপুরের হয়ে ১০ বলে ১৮ রান আসে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে খুলনার হয়ে তিন উইকেট নেন মুশফিক হাসান। এক ওভার করে ৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে খুলনা। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে রংপুর।