নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তিন নারী আত্মঘাতী বোমারুর হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। আত্মঘাতী নারীরা জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্নোতে বোকো হারামের শক্তিশালী অবস্থান আছে। জঙ্গিদের প্রতিরোধের জন্য গঠিত স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক বেসরকারী বাহিনীর সদস্য বাবা কুরা জানান, প্রথম বোমারু শিবিরের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার বর্নো রাজ্যের মাইদুগুরি শহরে একটি শরণার্থী শিবিরের কাছে চালানো এ হামলায় আরো বহু মানুষ আহত হন, খবর বিবিসির। “লোকজন তাদের দোকানপাট বন্ধ করতে শুরু করে, এ সময় অপর দুই নারী বোমারু তাদের কাছে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়, এ দুটি বিস্ফোরণেরই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে,” বলেন তিনি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মাইদুগুরিতে ফের সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শরিয়াভিত্তিক একটি ইসলামি রাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে লড়াই চালিয়ে আসছে বোকো হারাম। বোকো হারাম পরাজিত হয়েছে বলে গত বছর নাইজেরীয় সরকার ঘোষণা করেছিল; কিন্তু সংবাদ প্রতিনিধিরা বলছেন, সেনাবাহিনী হামলা বন্ধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে, তাই বর্নো রাজ্যের বাসিন্দারা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছেন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী গবেষকরা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, এতে বলা হয়েছে, ইতিহাসে এটিই প্রথম বিদ্রোহ যেখানে পুরুষের চেয়ে নারী আত্মঘাতী বোমারু বেশি ব্যবহার করা হয়েছে।