নতুন বছরে আর কারো বিচ্ছেদের কথা শুনতে চাই না : ঊর্মিলা

403

অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। ছোট পর্দার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিশেষ করে ধারাবাহিক নাটকে তার এখন বেশি ব্যস্ততা। সেই কারণে এবার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বিজয় দিবসের কোনো নাটকে কাজ করতে পারেননি বলে জানান। এই নিয়ে তিনি কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধের নাটকের প্রতি ঊর্মিলার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে।
কারণ তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় তার দাদা শহীদ হয়েছেন। স্বাধীনতার এত বছর পর দেশ নিয়ে ঊর্মিলার ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, বাবার কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেই বড় হয়েছি। এ ছাড়া দেশের জন্য আমার দাদা শহীদ হয়েছেন। সেই কারণে দেশের প্রতি আমার ভালোবাসা অপরিমেয়। দেশ নিয়ে আমি সবসময় ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করি। আমি মনে করি, গেল কয়েক বছরে আমাদের দেশ অনেক এগিয়েছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক সেই প্রত্যাশা করছি। অভিনয়ের বাইরে ঊর্মিলার লেখালেখির প্রতিও আগ্রহ রয়েছে। তার বাবার কাছ থেকে শোনা মহান মক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতি ও বিভিন্ন সময়ের ঘটনাবলি তিনি বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছে পোষণ করেন। গেল বছর ঊর্মিলা তার বাবাকে হারিয়েছেন। সবসময় তিনি বাবার শূন্যতা অনুভব করেন বলে জানান। এদিকে এ অভিনেত্রী অভিনয় শিল্পী সংঘের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সংগঠনের কার্যক্রম কেমন চলছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনটি সম্পূর্ণ শিল্পীদের সেবাদানের জন্য। আগামি ২২শে ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো শিল্পীদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে সংগঠনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া খুব শিগগির কয়েকজন শিল্পীকে আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন বছরেও আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে পরে জানাবো। ঊর্মিলা বর্তমানে মুশফিক কল্লোলের ‘সম্পর্ক’, শাহজাদা মামুনের ‘শুকনো পাতার নূপুর’, সাখাওয়াত মানিকের ‘মেঘে ঢাকা শহর’, জুয়েল মাহমুদের ‘দি পাবলিক’, এজাজ মুন্নার ‘বউ বিবি বেগম’, সৈয়দ শাকিলের ‘সোনার শিকল’ ও ‘প্রেমনগর’সহ একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করছেন। প্রতিটি ধারাবাহিকে তিনি বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করছেন। ‘সোনার শিকল’ নাটকে তাকে অপরাধ জগতের একজন সদস্য রূপে দেখা যাচ্ছে। নাটকের কাজের জন্য ঊর্মিলাকে প্রায় রাত করে বাসায় ফিরতে হয়। তবে পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির সাপোর্ট পাচ্ছেন বলেই এভাবে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারছেন বলে জানান। তার শাশুড়ি তাকে অভিনয়ের জন্য বেশ উৎসাহ দিয়ে থাকেন। ঊর্মিলা বলেন, পরিবারের সাপোর্ট না থাকলে একটি মেয়ের পক্ষে মিডিয়ায় কাজ করা সহজ নয়। সেদিক থেকে আমি ভাগ্যবান। বিয়ের আগে বাবা-মা এবং বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ির সমর্থন পাচ্ছি। সবার ভালোবাসা নিয়ে এভাবে আগামীতে কাজ করে যেতে চাই। চলতি বছর শোবিজের জন্য একটি অস্থির সময় বলে অনেকের অভিমত। এই বছরে অনেক তারকার বিচ্ছেদ ঘটেছে। দীর্ঘ সময় প্রেম। অতঃপর বিয়ে। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই সেই সম্পর্কের সমাপ্তি হয়েছে। এই বিষয়ে ঊর্মিলার মন্তব্য কি? তিনি বলেন, চলতি বছর শুধু শোবিজে নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়েছে। এটিকে অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে আমি প্রত্যাশা করছি চলতি বছরে যাদের ডিভোর্স হয়েছে নতুন বছরে তারা প্রত্যেকেই নিজকে গুছিয়ে নেবেন। নতুন করে আবারো জীবন শুরু করবে। এ ছাড়া নতুন বছরে আর কারো বিচ্ছেদের কথা শুনতে চাই না।