নতুন এক মাইলফলকের স্বাক্ষী হলো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ!

48

নতুন এক মাইলফলকের স্বাক্ষী হলো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। এই প্রতিযোগিতা দেখলো ১০০০০তম গোল। গোলটি করেছেন লা লিগার দল সেভিয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড় সার্জিও রামোস। ২৯ নভেম্বর র‌ামন সানচেজ পিজুয়ান স্টেডিয়ামে পিএসভির সঙ্গে ৩-২ ব্যবধানে হেরেছে সেভিয়া।
ম্যাচের প্রথম গোল দিয়েই এই আসর ১০০০০তম গোলের স্বাক্ষী হলো। ইভান রাকিতিচের ক্রস থেকে হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০ হাজারতম গোলটি করেন রামোস। এ প্রতিযোগিতায় ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে প্রথম গোলটি করেছিলেন স্প্যানিশ তারকা। গতকাল করলেন মাইলফলক ছোঁয়া গোল। ফুটবলের পরিসংখ্যানবিষয়ক এক্স অ্যাকাউন্ট ‘মিস্টার চিপ’ জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় হাজারতম গোলটিও করেছিলেন রামোস। ২০১৩ সালের মার্চে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আত্মঘাতী গোল করেছিলেন, সেটাই চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় হাজারতম গোল।

ফুটবলের পরিসংখ্যানবিষয়ক এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্ট ‘অপটা জো’র মতে, ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু হওয়ার পর ৩১ বছর ৪ দিনের মাথায় ১০ হাজারতম গোলটি দেখলো এই আসর। প্রথম আসরে ১৯৯২ সালে ২৫ নভেম্বর গ্রুপ পর্বে সিএসকেএ মস্কোর বিপক্ষে প্রতিযোগিতার প্রথম গোলটি করেছিলেন ব্রুগার নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড দানিয়েল আমোকাশি। বিবিসি জানিয়েছে, ৬৭৭৩ দিন পর কোনো খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম ও ১০০০০তম গোল করলেন। গত রাতের গোলে রামোস চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোলের তালিকায় চারেও উঠে এলেন। ৩৫ বছর ২৪৪ দিন বয়সে গোল করলেন সাবেক স্প্যানিশ তারকা।

এদিনে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন রামোস। ডিফেন্ডার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগেও সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন রামোস। তার গোল সংখ্যা এখন ১৬। তার সঙ্গে এই তালিকায় আরও আছেন রবার্তো কার্লোস ও তার স্প্যানিশ সতীর্থ জেরার্ড পিক। দুজনের গোলসংখ্যাই ১৬।এই আসরে ১ হাজারতম গোলটি করেন পিএসভির রাশিয়ান মিডফিল্ডার দিমিত্রি খোকলভ। ২ হাজারতম গোলটির দেখা পেয়েছিলেন সাবেক পর্তুগিজ সেন্টার ব্যাক ফার্নান্দো কুতো। ৩ হাজারতম গোল এনে দেন ফ্রান্সের সাবেক স্ট্রাইকার ডেভিড ত্রেজেগে। ইউরোপের এই আসরে ৪ ও ৫ হাজারতম গোলটি করেন যথাক্রমে লিভারপুলের স্ট্রাইকার পিটার ক্রাউচ ও। ব্রাজিলের লুইজাও। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৭, ৮ ও ৯ হাজারতম গোলটির মালিক যথাক্রমে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, এরিক লামেলা ও এমারসন।