Site icon রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮ এফএম

দেশ তখনই উন্নত হবে যখন কোনো বাড়িতে গৃহকর্মী থাকবে না বলেছেন, জেলা প্রশাসক

জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেছেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে কোনো গৃহকর্মী থাকে না, গৃহের সকল কাজ নিজেরাই সম্পন্ন করে। আমাদের দেশ তখনই উন্নত হবে যখন কোনো বাড়িতে কোনো গৃহকর্মী থাকবে না। আমরা সে সময়ের অপক্ষোয় রয়েছি, আমরাও স্বপ্ন দেখি, আমাদের দেশেও এমন একটা সময় আসবে যখন কোনো গৃহকর্মীর প্রয়োজন হবে না। আগের তুলনায় এখন নারীরা শিক্ষা দিক্ষায় অনেক এগিয়েছেন। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজ দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন। তবে সমস্যা একটা থেকেই যাচ্ছে, তাহল বাল্য বিয়ে, এ বাল্য বিয়ে রোধ করতে হবে। আজ জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০১৮ উপলক্ষে শিশু সমাবেশ, আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড. চিত্রলেখা নাজনীনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন-তোমাদের পাশে সরকার আছে, রাষ্ট্র আছে। তোমাদের সমস্যা হলে তোমরা হট লাইন নাম্বারে ফোন দিয়ে তথ্য জানাতে পারবে। যেমন ১০৯ নাম্বার , আবার ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে জানাতে পারবে। সুতরাং তোমাদের ভয় পাবার কোনো কারণ নেই। যারা ইভটিজিং করে তাদের সম্পর্কে তথ্য দেবে। তোমাদের সাহসী হতে হবে।সকলের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন- কন্যা শিশু আমাদের বাসায় বা অন্যদের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে। তাদেরকে অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতন রকা হয়। এ ক্ষেত্রে মহিলারায় বেশি অন্যায় অত্যাচার করেন। আমাদের সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে, তারাও মানুষ, তারাও আমার মেয়ের মতো। আমাদের সকলের উচিত যে বাড়িতে আমরা আমাদের মেয়েটাকে গৃহকর্মী হিসেবে দিচ্ছি সেদিকে লক্ষ্য রাখব যে তার মেয়েটার কি কি সুবিধা পাবে। জেলা প্রশাসক বলেন-কন্যা শিশুর স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিশ্চিত করণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আমরা কন্যা শিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে প্রস্তুত আছি। তোমরা লেখাপড়া করবে, খেলাধুলা করবে, তোমরা শিল্প, সাহিত্য চর্চা করবে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতানা পাপিয়া, শিক্ষাবিদ মিসেস মার্জিনা হক, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিদা আখতার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শফিকুল আলম, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ইয়াসমিন সুলতানা রুমা প্রমূখ। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা শিশু একাডেমি ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।

Exit mobile version