দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৮ বছর

101

মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ দিন বেড়েছে। ফলে গড় আয়ু এখন ৭২ দশমিক ৮ বছর। যা গত বছর ছিল ৭২ দশমিক ৬ বছর। সোমবার (২৮ জুন) নগরীর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক ২০২০’ প্রকাশনায় এ তথ্য জানানো হয়। নারীদের গড় আয়ু পুরুষের থেকে বেশি। নারীদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ৫ বছর। অন্যদিকে পুরুষের গড় আয়ু মাত্র ৭১ দশমিক ২ বছর।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে এটা দারুণ খবর। আমাদের সার্বিক উন্নতি হচ্ছে তারই ফল গড় আয়ু বেড়েছে। রিপোর্টটি খুবই কম সময়ে প্রকাশিত হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত।

তিনি বলেন, প্রকাশিত গড় আয়ু, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আছে। একজন মা এখন গড়ে দু’টি সন্তানের জন্ম দেন। এখন থেকে ৫০ বছর পেছনে তাকালে দেখা যাবে তখন একজন মা গড়ে ছয়টি সন্তানের জন্ম দিতেন। আমাদের দেশের মানুষ এখন শিক্ষিত হয়েছে, সচেতনতা বেড়েছে। দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার (১ জানুয়ারি, ২০২১)। জনসংখ্যা বাড়ার হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।

মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ০৪ শতাংশ। প্রতি হাজারে মাতৃ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৩ জন। ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনসংখ্যার শিক্ষার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার শিক্ষার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ। ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব নারী শিক্ষার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। বিদ্যুৎ সুবিধা আছে ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের।

প্রকাশিত রিপোর্টে আরও দেখা গেছে, স্যানিটারি টয়লেটের সুবিধা আছে ৮১ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবারের। ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার ইন্টারনেট ব্যবহারকারির হার ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ। তার মধ্যে পুরুষ ৫২ দশমিক ৭ শতাংশ ও নারী ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ ।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব  বলেন, এটি একটি নিয়মিত ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো গত ১৯৮০ সাল থেকে এ জনতাত্ত্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমান সময়ের এ রিপোর্টটির নমুনা এলাকার সংখ্যা আছে ৩ লাখ ১ হাজার ১৩১টি পরিবার।  দেশের গড় পরিবারের আকার ৪ দশমিক ৩ জন। এভাবে ১২ লাখ ৮৫ হাজার ১৩ জন জনসংখ্যার ভিত্তিতে তথ্য প্রকাশ করা হয়, যা দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্রতিনিধিত্বমূলক। এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তঃশুমারি বছরসমূহের জন্য জনসংখ্যা বাড়ার উপাদানসমূহ যথা- জনা, মৃত্যু, বিয়ে, অসিমন, বহির্গমন এক আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং নিয়মিতভাবে জনমিতি সম্পর্কিত সূচকসমূহ প্রকাশনা, পরিকল্পনাবিদ ও নীতিনির্ধারকদের ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা।