Site icon রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮ এফএম

দেনমোহর হিসেবে হজ করলেন জাপানের নওমুসলিম নারী

পবিত্র হজ সম্পন্ন করে নিজ নিজ দেশে ফিরছেন হাজিরা। এবার প্রথমবারের মতো হজ করে ফিরেছেন জাপানি নারী আলমান চাজি। সম্প্রতি মুসলমান হয়েছেন তিনি। আর ইসলামে দীক্ষিত হয়েই হজব্রত পালনে সৌদি আরবে যান তিনি। জানা গেছে, বিয়ের দেনমোহর হিসেবে স্বামীর কাছে হজ পালনের খরচ বহন চেয়েছিলেন এই নারী। সেই মোহরেই এবার হজ পালন করলেন তিনি।  জীবনে প্রথম হজ, মহানবীর (সা.) রওজা মুবারক, কাবাঘর, হাজরে আসওয়াদ, মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতের ময়দান দেখে অভিভূত এই জাপানি নওমুসলিম। সম্প্রতি সৌদি আরবের সেন্টার ফর গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনে (সিজিসি) এক সাক্ষাৎকারে তিনি জীবনের প্রথম হজের অনুভূতির কথা বলেন। তার কাছে হজ মানে নিজের সব অর্থ-সম্পদ পেছনে রেখে আল্লাহর সান্নিধ্যে কিছু সময় অতিবাহিত করা। কীভাবে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলামের ছায়াতলে আসেন সে গল্পও জানান তিনি। আলমাস চাজি জানান, খাদ্য কম্পানির এক মুসলিম শ্রমিকের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানতে  পারেন। তার কাছেই তিনি ইসলামের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান নেন এবং হালাল খাবারের ধারণা পান।  তিনি বলেন, চার বছর আগে ৩৫ বছর বয়সে আমার বিয়ে হয়। তখন হজের ভ্রমণকে আমার মোহর হিসেবে নির্ধারণ করি। তবে ওই সময় করোনা মহামারি থাকায় আমরা হজে যেতে পারিনি। এ বছর আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে আমরা হজ করি। আগে ইন্টারনেটে পবিত্র কাবাঘরের অনেক ছবি দেখেছি। এবার বাস্তবে স্বচক্ষে দেখলাম, ছবি ও আমার কল্পনার চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর কাবা। আর মিনায় বিশ্বের বৃহত্তম তাঁবুনগরী ও জাপানের পর্যটন ক্যাম্পের মধ্যে কিছুটা মিল রয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। আলমাসের মতো জাপান থেকে এসে হজ করেছেন আরেক নারী মুরামা তাসুকুগো। তিনিও নওমুসলিম। আজানের ধ্বনি শুনে মুগ্ধ হয়ে এক পর্যায়ে ইসলামধর্ম গ্রহণ করেন বলে জানান তাসুকুগো। তিনি বলেন, যখন মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে আজানের সুমধুর ধ্বনি শুনতে পেতাম আমার অন্তরে অন্যরকম অনুভূতি তৈরি হতো। এর পর থেকে ইসলাম ধর্মের প্রতি কৌতূহল বাড়ে। ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করি এবং মুসলিম বন্ধুদের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। এবার হজ পালন করে তার অন্তরে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আরো দৃঢ় হয়েছে বলে জানান তাসুকুগো।

সূত্র : সৌদি গেজেট

Exit mobile version