দুবাই প্রিন্সেস-ফ্রেঞ্চ মনটানার বাগদানের ঘোষণা
দুবাই রাজকন্যা শেখা মাহরার সঙ্গে বাগদানের ঘোষণা করেছেন র্যাপার ফ্রেঞ্চ মনটানা।নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যদিও মনটানার পক্ষ থেকে জুনে প্যারিস ফ্যাশন উইকের সময় তাদের সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছিল।
৩১ বছরের এই রাজকুমারী ও ৪০ বছর বয়সী র্যাপারকে ২০২৪ সালের শেষ দিকে একত্রে দেখা যায়। সে সময় শেখা মাহরা মনটানাকে দুবাই ঘুরিয়ে দেখান এবং স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করেন।
এরপর থেকে তারা মরক্কো ও দুবাই শহরে একসাথে ঘুরে বেড়ান। উচ্চমানের রেস্তোরাঁয় খেতে যান। মসজিদ পরিদর্শন করেন এবং প্যারিসের পন্ট দেস আর্টস ব্রিজে হাঁটাহাঁটি করেন। এরপর এই বছর তাদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসে।
তারা প্যারিসের ফ্যাশন ইভেন্টগুলোতে হাত ধরাধরি করে উপস্থিত হন। এটি ঘটে এমন একটি প্রেক্ষাপটে, যখন শেখা মাহরার সংক্ষিপ্ত বিবাহ ছিল শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ বিন মানা আল মাকতুমের সঙ্গে।
জানা যায়, তারা ২০২৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং একটি কন্যা সন্তান আছে। তখন শেখা মাহরা গত বছর ইনস্টাগ্রামে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এবং স্বামীর বিরুদ্ধে অবিশ্বাসের অভিযোগ করেন।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় স্বামী, যেহেতু আপনি অন্য সঙ্গীদের সাথে ব্যস্ত, আমি আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করছি। আমি আপনাকে তালাক দিচ্ছি, আমি আপনাকে তালাক দিচ্ছি, আমি আপনাকে তালাক দিচ্ছি। খেয়াল রাখবেন। আপনার সাবেক স্ত্রী।’
বিবাহবিচ্ছেদের পর, তিনি নিজের পারফিউম লাইন ‘ডিভোর্স’ লঞ্চ করেন। এটি তার ব্র্যান্ড ‘মাহরা এম১’-এর অন্তর্ভুক্ত। শেখা মাহরা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে বৃটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং মোহাম্মদ বিন রাশিদ সরকার প্রশাসন থেকে একটি যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
ফ্রেঞ্চ মনটানার আসল নাম কারিম খারবুশ। বিশ্বব্যাপী হিট গান যেমন ‘আনফরগেট্যাবল’ এবং ‘নো স্টাইলিস্ট’-এর জন্য পরিচিত তিনি। দাতব্য কর্মকাণ্ডের জন্যও খ্যাত তিনি। উগান্ডা এবং উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসংক্রান্ত প্রকল্পে তহবিল প্রদান করেছেন।
মনটানা ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উদ্যোক্তা ও ডিজাইনার নাদিন খারবুশের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন এবং ক্রুজ খারবুশ নামে তাদের ১৬ বছর বয়সী একটি ছেলে আছে।