দুধ উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ

127

দুধ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। চাহিদার তুলনায় এখন উৎপাদন হচ্ছে বেশি। ১৬ লক্ষাধিক জনসাধারণের এই জেলায় বার্ষিক মোট দুধের চাহিদা ১ দশমিক ৫৫১ লাখ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ১ দশমিক ৭২১ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে গাভীর খামারের সংখ্যা ৫২৪টি। এছাড়াও রয়েছে অনেকগুলো গাভীর পাল।
বুধবার বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে এই তথ্য তুলে ধরেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আরো বলেন, একজন মানুষকে দিনে ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা দরকার। তিনি স্কুল ফিডিংয়ে শিশুদের এক গ্লাস করে দুধ দেয়ার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান। তিনি বলেনÑ দুধ পান করলে পুষ্টির পাশাপাশি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। ১৮ বছরের পূর্বে যেসব শিশু আছে, তাদের প্রতিদিন দুধ খাওয়া প্রয়োজন। দুধ হচ্ছে একটি পবিত্র খাবার। আমাদের নতুন প্রজন্ম সেইফ ফুড হিসেবে দুধ উৎপাদন করবে। তারা দুধে পানি দেবে না, গাভীকে কোনো ধরনের কেমিকেল খাওয়াবে না। তিনি বলেনÑ ডেইরি শিল্প সম্প্রসারণে নতুন প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেনÑ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতোয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল মান্নান, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন, সফল ডেইরি খামারি মুনজের আলম মানিকসহ অন্যরা। জেলা কালচারাল অফিসার ফারুকুর রহমান ফয়সল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন দুধের বাজারজাতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘পুষ্টি, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে টেকসই দুগ্ধ শিল্প’Ñ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, শিশুদের দুধ পান করানো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা শেষে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার ও শিশুদের মধ্যে পাস্তুরিত প্যাকেট দুধ বিতরণ করা হয় এবং সব শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা গানের মধ্য দিয়ে দুগ্ধ শিল্পের বিকাশ ও সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়।