দু’দিন বন্ধের পর আজও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আলু ও পেঁয়াজ আমদানী অব্যহত
গত সোম ও মঙ্গলবার হঠাৎ করেই টানা দু’দিন বন্ধের পর গতকাল থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পথে আবারও প্রবেশ করছে আমদানীকৃত আলু ও পেঁয়াজ ভর্তি ভারতীয় ট্রাক। আজ ৩৫টি ভারতীয় ট্রাকে ৯৪১.৫ টন পেঁয়াজ ও ৬১টি ট্রাকে ১ হাজার ৬৯২ টন আলু প্রবেশ করেছে। এর আগে গত বুধবার ৯৪টি ভারতীয় ট্রাকে ২ হাজার ৫০২.৬ টন পেঁয়াজ ও ১০৯টি ট্রাকে ২ হাজার ৯৪২.১ টন আলু প্রবেশ করে। এনিয়ে টানা দুদিনে ১২৯ ট্রাকে ৩ হাজার ৪৪৪.১ টন পেঁয়াজ ও ১৭০টি ট্রাকে ৪ হাজার ৬৩৪.১ টন আলু প্রবেশ করল। সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার ৩ ট্রাকে ৬২ টন আলু শুধু বন্দরে প্রবেশ করার পর ওইদিনই পণ্য দুটি আমদানী বন্ধ হয়ে যায় বলেও জানান তিনি। ওইদিন কোন পেঁয়াজ প্রবেশ করে নি। এর আগে শেষ গত রবিবার যথারীতি ৩০টি ভারতীয় ট্রাকে ৮২৩.১ টন পেঁয়াজ ও ৫৯টি ট্রাকে ১ হাজার ৬৩৫.৪ টন আলু প্রবেশ করে। সে দিন আমদানী নিয়ে কোন সমস্যার বিষয় জানা যায় নি।
এদিকে দু’দিন কেন আমদানী বন্ধ ছিল ও আবার বুধবার কেন চালু হল এবং এসব পণ্য আমদানী অব্যহত থাকবে কি না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোন তথ্য জানাতে পারেননি আমদানীকারক বা বন্দরের কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে দুই দেশের দায়িত্বশীল কোন পক্ষের কোন চিঠিও পান নি কেউ। এদিকে গণমাধ্যমে আমদানী বন্ধের খবর প্রচারের পর দেশের অনান্য স্থানের ন্যয় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বেড়ে যায় পণ্য দু’টির দাম। কেজি প্রতি আলু অন্তত: ১০ টাকা ও পেঁয়াজ অন্তত ১৫ টাকা বেড়ে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্যতম পেঁয়াজ ও আলু আমদানীকারক মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, গত সোমবার গণমাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন পণ্য দুটি রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। তবে এ ব্যাপারে তাঁদের ভারতীয় রপ্তানীকারকরা আগাম কোন তথ্য দেন নি। এরপর গত সোমবার থেকেই বন্ধ হয়ে যায় পণ্য দু’টির আমদানী। গত মঙ্গলবারও ওই দুই পন্য প্রবেশ করে নি। এরপর গতকাল থেকে আবারও আমদানীকৃত আলু ও পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করে। যা আজও অব্যহত ছিল। ভারতীয় রপ্তানীকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা তাঁদের জানিয়েছেন,পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার তাদের বাজারে পণ্য দুটির দাম বেশি বলে পশ্চিমবঙ্গের কোন বন্দর দিয়ে পণ্য দুটি রপ্তানীর অনুমতি দেয় নি।
মাসুদ রানা আরও বলেন,সোনামসজিদের বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গের মহদিপুর স্থলবন্দরে আলুবোঝাই ট্যাক্স দেয়া যে সব ট্রাক রয়েছে (পাইপলাইনে) সেগুলো আপাতত রপ্তানীর অনুমতি দেয়া হয়েছে জানা গেছে। এরপর আলু আর রপ্তানীর অনুমতি দিবে না রাজ্য সরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গ ব্যাতীত ভারতের সাথে যে সব বন্দর রয়েছে সেসব বন্দর দিয়ে আলু আনা যাবে যদি বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দেয়। এদিকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানী চলবে বলেও জানা গেছে। পেঁয়াজ বন্ধের ব্যাপারে কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে নি। সোনামসজিদ বন্দর কর্মকর্তারাও ভারতীয়দের বরাতে একই তথ্য জানিয়েছেন।