দুঃসংবাদ আসছে শৈত্যপ্রবাহ
ঘূর্ণিঝড় ফিনজালের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এখনই শীত জেঁকে বসার সম্ভাবনা না থাকলেও ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। পঞ্চগড়ে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। রোববার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এদিকে শীতজনিত রোগ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, কাশি, হাঁপানি এবং নিউমোনিয়াসহ নানা রোগব্যাধিতে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওইরকম শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল আজ উপকূল অতিক্রম করার পরই তাপমাত্রা আরো কমে যাবে। তাপমাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমছে। আমরা আপাতত ধরে নিতে পারি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বরে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হয় এবং শেষের দিকেও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকে। দেশের যখন শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় তখন রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগে মূলত হয়ে থাকে। আর ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ একটু পরে আসে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হলে তাপমাত্রা কত থাকে এমন প্রশ্নে নাজমুল হক বলেন, ‘মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হলে তাপমাত্রা ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৬.১ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে, তীব্র শৈত্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে এবং অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাবে। অর্থাৎ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর তাপমাত্রা ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে।