দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে কারাগারে পাঠাল আদালত

54

ভারতে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কারাগারে পাঠানো হলো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতে থাকতে হবে। সোমবার (১ এপ্রিল) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সোমবার (১ এপ্রিল) দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে নেওয়া হয় কেজরিওয়ালকে। আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পক্ষ থেকে এদিন কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হয়নি। এই মুহূর্তে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করেছেন ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু। এরপর পরই কেজরিওয়ালকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক কাবেরী বাজেওয়া। আদালতের নির্দেশের পরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হোন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। তার আগে তাকে ৯ বার তলব করেছিল ইডি। প্রতিবার হাজিরা এড়িয়ে গেছেন তিনি। ২১ মার্চ তার বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। ভারতের ইতিহাসে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার প্রথম ব্যক্তি হলেন কেজরিওয়াল। ইডি হেফাজত থেকেই তিনি সরকার চালাচ্ছেন।

ইডির গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। যদিও প্রথম দিনের শুনানিতে স্বস্তি মেলেনি তার। আগামী ৪ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আম আদমি পার্টির (এএপি) অভিযোগ, কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটিও ‘সাজানো’। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে ভারতের জাতীয় নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। তার আগে দিল্লির ‍মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দিল্লিজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। জার্মানি, আমেরিকা ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও উদ্বেগ জানানো হয়েছে।