‘দিল্লিতে কুম্বলের ১০ উইকেট নেওয়ার পিচ মিরপুরের থেকেও খারাপ ছিল’

জিম লেকার, অনিল কুম্বলে, এজাজ পাটেল। ত্রয়ীর মধ‌্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে। স্পিনে তিনজন হাত ঘুরান। ক্রিকেট বিশ্বে তারাই কেবল টেস্টে এক ইনিংসে ১০টি উইকেট পেয়েছেন। জিম লেকার ম‌্যানচেস্টারে। অনিল কুম্বলে দিল্লিতে। এজাজ মুম্বাইয়ে। প্রতিপক্ষ যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও ভারত। বিংশ শতাব্দীর আগে এই অস্বাভাবিক সাফল‌্যের দেখা পেয়েছিলেন লেকার ও কুম্বরে। এজাজই কেবল বিংশ শতাব্দীর প্রতিনিধি। হঠাৎ এই আলোচনা কেন? কেনই বা ১০ উইকেট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আলোচনাটা উঠছে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের এক মন্তব‌্যকে ঘিরে।

মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেট নিয়ে আলোচনা থামছে না। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর মিরপুরে আবার ফিরেছে ওয়ানডে। এ সময়ে গামিনি ডি সিলভার পরিবর্তে মিরপুরের দায়িত্বে টনি হেমিং। কিন্তু চিরচেনা মিরপুর পাল্টাতে পারেনি স্পিন দূর্গ। ধীর গতির, লো বাউন্সের উইকেট। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রীতিমত হিমশিম খেল। বাংলাদেশও ভুুগেছে।

তাতেই উঠছে প্রশ্ন, এমন উইকেট খেলে লাভ কী? আর জয়েও কি প্রত‌্যাশিত লক্ষ‌্য পূরণ হলো? সময়ের কাছে সেই প্রশ্ন তোলা থাক। আগামীকাল মঙ্গলবার দুই দলের দ্বিতীয় ওয়ানডে। দলের প্রতিনিধি হয়ে মুশতাক আহমেদ এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।  কিংবদন্তি স্পিনার পাকিস্তানের হয়ে লম্বা সময় খেলেছেন। ৯৬ এর বিশ্বকাপ জিতেছেন। লেগ স্পিনার হিসেবে সাফল‌্য টইটুম্বর। তার কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছিল, এর চেয় বাজে উইকেট এর আগে তিনি দেখেছেন কি না? উত্তরে বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, অনেক (বাজে উইকেট)। আমার মনে আছে, দিল্লিতে ভারতের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে অনিল কুম্বলে এক ইনিংসে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন। সেই উইকেটটি এর থেকেও খারাপ ছিল।’’

এমন উইকেটে মুশতাক নিজের সেরা সময়ে কত উইকেট পেতেন? সহজেই ৭, ৮, এমনকি ১০ উইকেট নিতে পারতেন? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘না, সত্যি বলতে এটা ততটা সহজ নয়। যেমনটা ওই ভাই জিজ্ঞাসা করলেন, কখনও কখনও বেশি চাপের মধ্যে থাকতে হয় কারণ আপনাকে সেরাটা দিতে হবে। একজন তরুণ লেগ-স্পিনার হিসেবে আপনি নার্ভাস হতে পারেন। কোচিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমার কথা হলো প্রক্রিয়া ধরে রাখা। এই পিচগুলো কখনও কখনও আপনাকে আপনার কমফোর্ট জোন এবং প্রক্রিয়া থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারে।’’

এজন‌্য সেন্ট্রাল উইকেটে লম্বা সময় স্পিনাররা বল করেছেন। কারণ ব‌্যাখ‌্যা করতে গিয়ে মুশতাক বলেছেন, ‘‘এই ধরণের পিচে, আপনাকে খুব স্মার্ট এবং ফিল্ড পজিশন নিয়ে ধূর্ত হতে হবে। সঠিক ফিল্ড সেট করে আপনাকে ব্যাটসম্যানকে আউট করতে হবে, সে ফ্রন্ট-ফুট না ব্যাক-ফুট প্লেয়ার, এবং আপনার গতি (৮৫ বা ৯০+ কিমি/ঘন্টা) কেমন হবে, তা বুঝে বল করতে হবে। কোচ হিসেবে আমরা তাদের তথ্য দিই, এবং প্লেয়ারদের তা মাঠে কার্যকর করতে হয়।’’