দার্জিলিং থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর আংশিক প্রত্যাহারে আদালতের সম্মতি

432

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দার্জিলিংয়ে মোতায়েন করা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু অংশ প্রত্যাহারে সম্মতি দিয়েছেন। শুনানির পর গত শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ভারতের কেন্দ্রীয় মোদি সরকার ১৫ অক্টোবর দার্জিলিং থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, দার্জিলিংয়ে নিয়োজিত ১৫টি কোম্পানির মধ্যে ১০টি প্রত্যাহার করা হবে।
এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পাহাড়ে যখন শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখনই কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে। এটি অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। এটি মেনে নেওয়া যায় না।
এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১৭ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং ২৭ অক্টোবরের মধ্যে বাহিনী প্রত্যাহার করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়।
পরে গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে চেলেমেশ্বর ও বিচারপতি আবদুল নজিরের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়।
সেই আবেদনের শুনানি হয় গত শুক্রবার। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার আসন্ন হিমাচল প্রদেশের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ৭ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার করতে পারবে। তবে ৮ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী অবশ্যই দার্জিলিংয়ে রাখতে হবে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। আগামি ২৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংয়ের ডাকে গত ১২ জুন থেকে দার্জিলিংয়ে একটানা অনির্দিষ্টকালের বন্ধ্ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকার জুন মাসেই দার্জিলিংয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ করে। পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০৭ দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ্ প্রত্যাহার করে নেয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।