দায়িত্ব নিচ্ছেন তুলসী গ্যাবার্ড, ট্রাম্পের আরেকটি জয়
মার্কিন সিনেটের অনুমোদন পেয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (ডিএনআই) নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন তুলসী গ্যাবার্ড। মার্কিন সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তাপ্রধানের পদ এটি। তবে এর আগে তুলসী কোনো গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করেননি বা গোয়েন্দাসংক্রান্ত কোনো কমিটিতেও ছিলেন না। এত উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বে তুলসী অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে তিনি কীভাবে ১০ হাজার কোটি ডলারের বিশাল ব্যয়ের এই কর্মযজ্ঞ সামলাবেন, তা নিয়ে সিনেটে বিতর্ক তৈরি হয়। তুলসির নিয়োগের বিরোধিতা করেন ডেমোক্রেটরা। পরে ৫২-৪৮ সিনেট ভোটে এই পদে তার পদায়ন নিশচিত হয়। তুলসীর পক্ষে পড়া ৫২ ভোটের সব কটিই রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের। ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে এটি ১৪তম উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ। যদিও রিপাবলিকান দলের সিনেটের সাবেক নেতা মিচ ম্যাককনেল তার মনোনয়নের বিরোধিতা করেছিলেন।
গ্যাবার্ডের জন্য গোয়েন্দা কমিটির প্রথম ধাপ পেরোনো সহজ ছিল না। কিন্তু প্রাক্তন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান হওয়া সত্ত্বেও তিনি রিপাবলিকানদের সমর্থন আদায়ে সফল হন। গ্যাবার্ড অতীতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন। এছাড়া, তিনি জাতীয় নিরাপত্তার গোপন তথ্য ফাঁস করা অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনকেও প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন, যা অনেকের কাছে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ছিল। তবে, ৪৩ বছর বয়সী গ্যাবার্ড একজন মার্কিন সেনা রিজার্ভিস্ট এবং ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিতে প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছিলেন। এখন তিনি গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধান করবেন এবং প্রেসিডেন্টের কাছে গোয়েন্দা সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। তুলসী গ্যাবার্ডের নিয়োগের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা নীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে, তা এখন দেখার বিষয়।