দলের জয়ে দুঃখ ভুলেছেন মুশফিক

229

শটটি খেলার পর মুহূর্তের জন্য থমকে দাঁড়ালেন। এরপর পাকিস্তানিদের উল্লাসের মাঝে হাঁটা দিলেন আস্তে আস্তে। পা দুটো যেন চলছিল না। ড্রেসিং রুম পর্যন্ত পথটা ফুরোবার নয়। মুশফিকুর রহিমের সেই হতাশা উধাও ম্যাচ শেষে। দলের জয় পাওয়ার আনন্দে ভুলে গেছেন তিনি ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার কষ্ট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৪ রানের অসাধারণ ইনিংস দিয়ে মুশফিক শুরু করেছিলেন এবারের টুর্নামেন্ট। আরেকটি সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েছিলেন বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে আবু ধাবিতে। কিন্তু ৯৯ রানে আউট হয়ে যান শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে।
এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে আউট হলেন ৯৯ রানে। এশিয়া কাপের ইতিহাসে এই আক্ষেপের শিকার প্রথম ব্যাটসম্যানও তিনি। তবে এসব রেকর্ডে নাম লেখাতে কোন ব্যাটসম্যানই বা চায়!
আউট হয়ে ফেরার সময় মুশফিকের হতাশা ফুটে উঠেছিল চেহারায়। ম্যাচ শেষে সেই মুখেই ঝলমলে হাসি। নিজেকে দাবি করলেন পুরোপুরিই দল অন্তঃপ্রাণ। “সত্যি বলতে, জেতার পর থেকেই দুঃখ আর পাচ্ছি না। আপনারা কতটা জানেন জানি না, দলই আমার কাছে সবার আগে। আমি যদি সেঞ্চুরি করতাম, দল ২৬০ করে হেরে যেত, ভালো লাগাটা আমার কখনোই আসত না। এটা মুখের কথা নয়, আমার মনের কথা। আমি সবসময়ই এটা অনুভব করি।”
আউট হওয়ার পর ড্রেসিং রুমে ফিরেও মুশফিক জানিয়েছিলেন, তার হতাশা ছিল দলকে আরও সামনে টেনে নিতে না পারায়।
“আউট হওয়ার পর আমার হতাশাটা ছিল দলের কারণেই। ড্রেসিং রুমে ফিরেও বারবার বলছিলাম যে একজন সেট ব্যাটসম্যানের অন্তত ৪৮ ওভার পর্যন্ত খেলা উচিত। কারণ নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য ওদের বোলিং আক্রমণ খেলা সহজ নয়। দেখেছেন আজকেও যে শেষ ২০ ওভারে আমরা মাত্র ১১০ রানের মতো করতে পেরেছিলাম। এজন্যই আমার কাছে হতাশার ছিল। কিন্তু দলের জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”