ত্বকের বার্ধক্যের ছাপ কমায় নাইট ক্রিম

57

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করে। বার্ধক্যের দাগ, বলিরেখা, মুখের সূক্ষ্ম রেখা ইত্যাদি তন্মধ্যে অন্যতম। মূল কারণ বার্ধক্য হলেও- অনেক সময় পরিবেশ ও জীবনযাপনের কারণে প্রত্যাশিত সময়ের আগেই চেহারায় বলিরেখা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই তো ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধে কসমোলোজিস্টরা নাইট ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা এটি ত্বকের তারুণ্য বাড়ানো থেকে শুরু করে ত্বকে পুষ্টি জোগায়, আর্দ্রতা রক্ষা করে শুষ্কভাব কমায়।

ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে- এটা স্পষ্ট যে, ত্বক দিনে ও রাতে ভিন্নভাবে কাজ করে। দিনে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির পাশাপাশি পরিবেশগত চাপ যেমন- দূষণ, জীবাণু ও অন্যান্য দূষক থেকে সুরক্ষার প্রয়োজন। রাতে ত্বক পুনর্গঠনের কাজ করে। তাই দিনের চেয়ে রাতে ব্যবহারের ক্রিম আলাদা হয়।

গভীর থেকে আর্দ্রতা রক্ষা : নাইট ক্রিম সাধারণত দিনের ক্রিমের তুলনায় বেশি ঘন হয়ে থাকে। এটা ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্র রাখে এবং দিনে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। প্রাকৃতিকভাবেই ত্বক রাতে আর্দ্রতা হারায় যেমন- ‘ট্রান্সএপিডার্মাল’ পানি হ্রাস পায়। এ ক্ষেত্রে নাইট ক্রিম সারা রাত কাজ করে।

ত্বকের পুনর্গঠন : ঘুমে থাকাকালীন ত্বক কোষের মেরামত ও পুনর্জন্মের কাজ করে। নাইট ক্রিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পেপটাইড, রেটিনল অথবা হায়ালুরনিক অ্যাসিড ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নতুন কোষ পুনর্গঠনে কাজ করে।

নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান : ত্বকের নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে বাজারের অনেক ক্রিম তৈরি করা হয়। বিশেষ ফর্মুলায় তৈরি এসব নাইট ক্রিম সারা রাত ত্বকে কাজ করে সমস্যার সমাধান করে থাকে।

পুষ্টি প্রদান : অনেক নাইট ক্রিমে ত্বকের জন্য পুষ্টিকর উপাদান যেমন- ভিটামিন, ভেষজ নির্যাস থাকে যা ত্বকের উপকার করে। যা ত্বকের আর্দ্রতা জুগিয়ে সতেজভাব আনে, প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

সুরক্ষা প্রদান : অধিকাংশ নাইট ক্রিমে ত্বক সুরক্ষার উপাদান থাকে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে দূষণ ও সূর্যালোকের ক্ষয় থেকে সুরক্ষিত রাখে।