তাড়াহুড়া নেই কনার

323

প্রায় ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে ধীরে ধীরেই সংগীতের জগতে এগিয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা। কারণ, এক লাফে আকাশ ছুঁলে পরবর্তীকালে পড়ে যেতে হয় সেটা খুব ভালোভাবেই অনুভব করেছিলেন এ শিল্পী। আর তাইতো তার মধ্যে কখনও তাড়াহুড়া কাজ করেনি। কাজ করেনি রাতারাতি তারকা বনে যাওয়ার চিন্তা। ধীরে ধীরে নিজেকে সংগীতে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়েছেন। হয়েছেও তাই।
এখন কণা প্লেব্যাক, স্টেজ ও অ্যালবামে একটি নির্ভরতার নাম। গত তিন বছরে সেটি আরও বেশি করে উপলব্ধি করিয়েছেন এ শিল্পী। এই সময় তার বেশ কিছু গান দারুণভাবে সফলতা পায়। কদিন আগেই তার গাওয়া ‘দিল দিল দিল’ গানটি ইউটিউবে দুই কোটির ঘর অতিক্রম করেছে। এটি ছিল ‘বসগিরি’ ছবির গান। অন্যদিকে অত্যন্ত অল্প সময়ে ‘নবাব’ ছবিতে তার গাওয়া আইটেম গান ‘ও ডিজে ও ডিজে’ এক কোটির ঘর অতিক্রম করেছে ইউটিউবে। শুধু তাই নয়, অডিওতেও কনার গাওয়া ‘রেশমি চুড়ি‘ গানটি ইউটিউবে এক কোটিরও বেশি দর্শক উপভোগ করেছেন। সব মিলিয়ে কনার গাওয়া
মোট তিনটি গান কোটির ঘরে পৌঁছার রেকর্ড করেছে। দেশের প্রথম নারী শিল্পী হিসেবে এমন রেকর্ড শুধু কনারই রয়েছে। সব মিলিয়ে অনুভূতি কী? কণা বলেন, বেশ ভালো। কারণ খুব অল্প সময়ে তিনটি গান কোটিরও বেশি দর্শক উপভোগ করেছেন। এটা একজন শিল্পীর জন্য অনেক বড় পাওয়া। এখন মনে হচ্ছে দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেল। কারণ শ্রোতাদের প্রত্যাশা আরো বেশি এখন আমার কাছে। এ কারণে বেশ বুঝেশুনে পথ চলছি। আরও ভালো গান করার চেষ্টা করছি। তাহলে গান নিয়ে পরিকল্পনা কী সামনে? কণা বলেন, আসলে পরিকল্পনা একটাই ভালো গান করা। সিনেমার গানে কণ্ঠ নিয়মিতই দিচ্ছি আমি। সম্প্রতি ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ ছবির ‘মন জানে’ গানটি বেশ পছন্দ করছেন শ্রোতারা। এখানে আমার সঙ্গে গানটি গেয়েছে ইমরান। সুর ও সংগীতও তার। এ ছাড়া আরো নতুন কয়েকটি গান আসবে সামনে। নিজ উদ্যোগেও কয়েকটি গান করে রেখেছি। তবে সেগুলো একসঙ্গে প্রকাশ করবো না। একটি একটি করে ভিডিও করে নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রকাশ করবো। দেখা যাক কী হয়।