তামিমকে দেখতে গেলেন সাকিবের বাবা-মা
সোমবারই সতীর্থ, বন্ধু ও দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা তামিম ইকবালের জন্য দোয়া চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সন্ধ্যায় তামিমের স্ত্রী আয়েশা ইকবালের সঙ্গে ফোনে কথা বলে খোঁজখবর নেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার। আজ মঙ্গলবার হার্ট অ্যাটাকের পর সাভারের কেপিজে স্পেশালাইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিমকে দেখতে গেছেন সাকিবের বাবা ও মা। সাকিবের বাবা খন্দকার মাসুরুর রেজা ও মা শিরিন রেজা মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তামিমকে দেখতে যান। সেখানে দেশসেরা ওপেনারের জন্য দোয়া করেন এবং শারীরিক অবস্থান খোঁজ-খবর নেন তারা। প্রায় ১ ঘণ্টা তামিমের কক্ষে অব্স্থান করেন মাসুরুর রেজা ও শিরিন রেজা। এরপর তামিমের পারিবারের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটান তারা। পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিবের বাবা। মাসরুর রেজা বলেন, ‘তামিমের সঙ্গে সাকিবের কথা হয়েছে কি না, আমি জানি না। তবে তামিম ভালো আছে। খুব শিগগিরই বাসায় চলে যেতে পারে।’ ‘আমাদের এখন দোয়া করা ছাড়া আর কী আছে। তামিমকে দেখলাম, তার জন্য দোয়া করলাম। আমি গতকালও তার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেছি।’ জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট মিলিয়ে তামিম-সাকিবের বন্ধুত্ব প্রায় দুই দশকের। তবে সাকিবের বাবা যোগ করলেন নতুন তথ্য। মাসরুর রেজা জানালেন, তামিমের সঙ্গে পরিচয়েরও অনেক আগে তামিমের পরিবারের সঙ্গে তার পরিচয়। ‘(তামিম) ছেলের মতো না…তামিমের আব্বা তো আমার খেলার বন্ধু। ইকবাল ভাই আমার খেলার বন্ধু। তামিমের মায়ের বিয়ের আগেই কিন্তু তার বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্ক।’ এর আগে গতকাল সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে হার্ট অ্যাটাক হয় মোহামেহান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তামিমের। পরিস্থিতি জটিল হলে দ্রুত তাকে স্থানীয় কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই হাসপাতালেই তামিমের এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্টিং করানো হয়। স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত ব্লক পড়া ধমনীতে রিং পরানো হয়। এরপর আস্তে আস্তে শঙ্কা কাটতে শুরু করে। গতকাল দুপুরের পরই জ্ঞান ফেরে তামিমের। মায়ের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। ওইদিন বিকালের দিকে হাসপাতালের ডাক্তাররা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, তামিম ইকবাল পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। রাতের দিকে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তখন জানা গেছে, তামিমের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে। তামিম ইকবালের সঙ্গে কেপিজে হাসপাতালে অবস্থান করা তার বন্ধু এবং সাংবাদিক মিনহাজউদ্দিন খান জাগোনিউজকে জানিয়েছেন, ‘তামিম আগের চেয়ে অনেকটা ভালো বোধ করছেন। রাতে ভালো ঘুমও হয়েছে। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে তার। একজনের সাহায্য নিয়ে রুমের মধ্যে হাঁটাচলাও করেছেন।’ তামিমের চাচা, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান জাগোনিউজকে বলেছেন, ‘তামিমের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রিং পরানোর কারণে হার্টে রক্তের চলাচলও অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। তার অবস্থা দেখে কেপিজে হাসপাতালের ডাক্তার যদি অনুমতি দেয়, তাহলে আজই আমরা তাকে রিলিজ করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাই। এখানে এনে পরীক্ষা করতে চাই তার হার্টের ড্যামেজ কতটা হয়েছে। এর চেয়ে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হবে কি না।’