তরুণ অভিবাসীদের সুরক্ষা প্রকল্প বাতিলের সমালোচনায় ওবামা

521

তরুণ অনিবন্ধিত অভিবাসীদের সুরক্ষা দিতে তার আমলে নেওয়া কর্মসূচি বাতিল করায় তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মঙ্গলবার ডেফারড অ্যাকশন ফর চিলড্রেন অ্যারাইভাল’ (ডিএসিএ) নামের প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করে ট্রাম্প প্রশাসন। এর পরপরই ফেসবুকে ওবামা তার প্রতিক্রিয়া জানান বলে বিবিসির খবর। তিনি নতুন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ‘নিষ্ঠুর’ ও ‘ভুল’ অ্যাখ্যা দেন। এসব তরুণকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো উচিত নয়, কারণ তারা এমন কিছু করেনি যা অন্যায়। হয় আমরা সেই ধরনের মানুষ যারা আশাবাদী তরুণদের আমেরিকা থেকে বের করে দিতে চাই; কিংবা নিজের সন্তানকে যেভাবে দেখি, এসব তরুণদেরও সেভাবেই দেখতে পারি,” বলেন তিনি। পাঁচ বছর আগে ওবামার চালু করা এ প্রকল্পের আওতায় সুরক্ষা পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া অনিবন্ধিত প্রায় আট লাখ তরুণ অভিবাসী। আইনের ফাঁক গলে মার্কিন মুলুকে যাওয়া এ তরুণদের বিতাড়নের হাত থেকে রেহাই দিয়ে সেদেশে বসবাস, পড়াশোনা ও ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন ওবামা। এরাই ‘ড্রিমার’ নামে পরিচিত। সমালোচকরা এ প্রকল্পকে অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষমা করার নামান্তর বলেই মন্তব্য করে এসেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকেই ট্রাম্প এ প্রকল্পের বিরোধিতা করছিলেন। নির্বাচিত হওয়া মাত্রই এ প্রকল্প বাতিল করার পরিকল্পনাও জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরও পরবর্তীতে তাকে ড্রিমারদের ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল কংগ্রেসের স্পিকার পল রায়ানের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছিল, এ তরুণরা আমেরিকা ছাড়া অন্য দেশ চেনে না, তাদের বাবা-মা তাদেরকে এখানে নিয়ে এসেছে। রায়ানের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে পরে ডেমোক্রেটরাও বলেছিল, “তারা যাতে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যেতে পারে, সেই রকম আইনই আনা উচিত। এ প্রকল্পের আওতায় যারা সুবিধা পেয়ে আসছেন আগামি ছয় মাস তাদের সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি নতুন করে আর কোনও অনিবন্ধিত তরুন অভিবাসীর আবেদন গ্রহণ করবে না। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নেয়া ওবামা প্রশাসনের নেওয়া এই প্রকল্পটি ছিল অসাংবিধানিক। এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, ড্রিমারদের বিষয়ে আইন করতে কংগ্রেসকে ছয় মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান সিনেটররা না পারলে তিনি নিজে কর্মসূচিটি পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখবেন। ডিএসিএ বাতিলের পর নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ থেকে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। যদিও কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।