তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৯ বছরে বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ

409

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গত ৯ বছরে বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ (৪৯৪)। এর পরিমাণ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জিডিপির প্রায় ০৬০ শতাংশ। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে এ খাতে সার্বিক বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সার্বিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের প্রায় ২৯১ শতাংশ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন। আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, দেশে টেলিডেনসিটি (ব্যবহারের হার) ৮৩০৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর (প্রায় ১৩ কোটি) প্রায় ৪১৫২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এসবই উন্নয়নের চিত্র। আগামী দিনে এসব হার আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আইসিটি খাতে ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইটিতে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ জন্য আইসিটি খাতে বিপুল উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বরাদ্দ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এ বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা বেশি। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মূল বাজেটে আইসিটি বিভাগের জন্য ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানান। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যা ছিল ১ হাজার ২১০ কোটি টাকা। তবে বাজেটে বরাদ্দ বাড়লেও এ খাতে দিন দিন চ্যালেঞ্জও বাড়ছে। বাজেটে সেসব চ্যালেঞ্জ, উত্তরণের উপায় ও সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। আগামী দিনে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে গেলেই একটি সুখী-সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা : হালচিত্র-২০১৭ এ বলা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বর্তমানে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিবান্ধব মানসম্মত শিক্ষার অভাব ও অপর্যাপ্ত সুযোগ, দক্ষ মানবসম্পদের অভাব, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে পেশাদারিত্ব, ব্যবস্থাপনা ও তহবিল সঙ্কট ও অবকাঠামোগত সমস্যা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা গেলে অদম্য যুবশক্তি ও মেধা কাজে লাগিয়ে, সস্তা মজুরি ও সহজলভ্য শ্রমিক সরবরাহ করে উদীয়মান এ আইটি শিল্পকে শীর্ষ আয়ের খাতে রূপান্তর করা যাবে। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের হার, মোবাইলফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যার বৃদ্ধিসহ এ খাতে বিদ্যমান কিছু সুযোগ সুবিধার কারণে তরুণরা এ পেশায় আসছে। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে তা সম্ভাবনায় রূপ দেয়া গেলে তরুণরা আরও বেশি করে এ পেশার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে।