তখন মজা ছিল, এখন দায়িত

428

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের সময়টায় পুরোপুরি নির্ভার ছিলেন সাকিব আল হাসান। আগের বছরই সীমিত ওভারের দুই সংস্করণে অভিষেক হয়ে যাওয়া বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কাছে সেই সময়টা ছিল উপভোগের, মজার।
সেই তরুণ সাকিব এখন তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের বড় ভরসা। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই তার কাছ থেকে অবদান চায় দল। দায়িত্বের ভারে উপভোগের মজা অনেকটাই কমেছে।“প্রথম টেস্ট খেলার সময় চিন্তা ছিল না যে কয়টা ম্যাচ খেলবো, কত দিন খেলবো। সে সময় একটা মজা ছিল। সেটা এখন নেই, তেমন না। কিন্তু এখন পরিবেশ অন্য রকম, দায়িত্ব; সব কিছুই আলাদা।”২০০৭ সালের মেতে চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে স্পর্শ করবেন ৫০ ম্যাচের মাইলফলক। ১০ বছরের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে, খানিকটা আফসোস কী আছে সাকিবের?
“জীবনে খুব বেশি আফসোস নাই। সেদিক থেকে চিন্তা করলে- যা হয়েছে, তাতেই আমি খুশি। বেশি খেলতে পারলে ভালো লাগতো।”“যে ম্যাচগুলো খেলেছি, তাতে কতটা পারফর্ম করেছি, সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সামনে দুটি ম্যাচেও ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। এ বছর আমাদের দলের অনেকেই খুব ভালো করেছে। আশা করি, এই সিরিজেও ভালো কিছু হবে।”
সাকিবের সঙ্গে তামিম ইকবালও দাঁড়িয়ে আছেন ৫০ টেস্টের মাইলফলকের সামনে। রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্ট আবার দলের ১১ খেলোয়াড়েরই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম।“এটা একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। ওদের সঙ্গে নানা সময়ে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলেছি। টেস্ট এই প্রথম, এটা একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড টেস্টকে আলাদা মূল্যায়ন করে। যেটা অন্যেরা করে না। এ রকম একটা দেশের সঙ্গে টেস্ট খেলা রোমাঞ্চকর।”