বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ-এর সুপার লিগের শেষ দিন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী লিমিটেড। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টানা ৩ বার শিরোপা জয় করে ঐতিহ্যবাহী দলটি।
আবাহনী এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত টানা ৩ বার ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়। ২০১৩-১৪ আসরে লিস্ট এর মর্যাদা পায় ঢাকা লিগের খেলা। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্স।
আবাহনী এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত টানা ৩বার ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়। তবে তখনো লিস্ট এ’র মর্যাদা পায়নি। ২০১৩-১৪ আসরে লিস্ট এর মর্যাদা পায় ঢাকা লিগের খেলা। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্স।
কিন্তু আবারো বাধা হয়ে দাঁড়ান সাইফ। ১২ বলে ১৩ রান করে প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক সাজঘরে ফেরেন উইকেটের পেছেনে ক্যাচ দিয়ে। ৮ রানের ব্যবধানে ফেরেন রাকিবুল হাসান (৪) ও মোহাম্মদ মিথুন (৬)। এক প্রান্তে যখন আসা যাওয়ার মিছিল তখন আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলেন রুবেল।
ওপেনিংয়ে নেমে রুবেল খেলেন ৪৩ বলে ৪১ রানের ইনিংস। তানজিম হাসান সাকিবের বলে যখন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তখন দলের রান ৯৯। বল বাকি ছিল ২৬টি। রুবেলের সঙ্গে ম্যাচের ভাগ্য শেষ হলেও ঝলক দেখিয়ে কিঞ্চিত আশা জাগিয়েছিলেন অলক কাপালি। এরপর সাইফউদ্দিনের ওভারে আবারও চওড়া হন অলক। ১টি ছয় ও ১টি চারে কমান রানের ব্যবধান।
শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন হলেও নিতে পেরেছে মাত্র ৭ রান। প্রথম ৩ বল ডটের পর চতুর্থ বলে লং অনে ৬ মেরেছিলেন অলক। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ৩৪ রান করে। তার ইনিংসে ৩টি ছয় ও ২টি চারের মার ছিল। শেষ পর্যন্ত ৮ রানে হারতে হয় আবাহনীর কাছে।
আবাহনীর হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরষ্কারও ওঠে এই অলরাউন্ডারের হাতে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের দল। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানোর পর নাজমুল হোসেন শান্ত-মোসেদ্দেক হোসেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দলটি। এরপর শান্ত-আফিফ ফিরে যাওয়ায় তিনি এখন একাই লড়ছিলেন।
শান্ত সর্বোচ্চ ৪০ বলে ৪৫ রান করেন। মোসাদ্দেক খেলেন ৩৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস। দুজনের জুটি থেকে আসে ৭০ রান। শেষ দিকে সাইফউদ্দিনের ১৩ বলে ২১ রানের ঝড়ে দেড়শ রান স্পর্শ করে দলটি। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন।