ঢাকা বোর্ডে পুনর্নিরীক্ষায় নতুন জিপিএ–৫ পেল ২০১ শিক্ষার্থী

২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ হয়েছে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে ২০১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ–৫ পেয়েছে, আর ৩০৮ জন ফেল থেকে পাসে ফিরেছে। আজ পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর মোট ৭৯ হাজার ৬৭১ জন শিক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৩৩১ জনের ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার মূল ফল প্রকাশ হয়েছিল গত ১৬ অক্টোবর। এরপর ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়।
বোর্ড সূত্র জানায়, এ বছর খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়ে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ২ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ৪ লাখ ২৮ হাজার খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক আবেদন করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, আর সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে বরিশাল বোর্ডে। বিষয়ভিত্তিকভাবে ইংরেজি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে সর্বাধিক আবেদন জমা পড়ে।
ঢাকা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বোর্ডটির ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৬ হাজার ১৫০ জন পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছেন। এসব আবেদন থেকে জমা পড়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৬টি খাতা চ্যালেঞ্জ। এরপর অবস্থান কুমিল্লা বোর্ডে ২২ হাজার ৫০৩ জনের ৪২ হাজার ৪৪টি খাতা, রাজশাহী বোর্ডে ২০ হাজার ৯২৪ জনের ৩৬ হাজার ১০২টি খাতা এবং চট্টগ্রাম বোর্ডে ২২ হাজার ৫৯৫ জনের ৪৬ হাজার ১৪৮টি খাতা পুনর্নিরীক্ষার আবেদন।
যশোর বোর্ডে আবেদন করেছে ২০ হাজার ৩৯৫ জন, মোট খাতা ৩৬ হাজার ২০৫টি। দিনাজপুরে আবেদন করেছে ১৭ হাজার ৩১৮ জন, খাতা ২৯ হাজার ২৯৭টি। ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৫ হাজার ৫৯৮ জন, খাতা ৩০ হাজার ৭৩৬টি। সিলেট বোর্ডে ১৩ হাজার ৪৪ জন, খাতা ২৩ হাজার ৮২টি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১২ হাজার ৭ জন, খাতা ১৫ হাজার ৩৭৮টি। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছে ৭ হাজার ৯১৬ জন, খাতা ১৪ হাজার ৭৩৩টি।
সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে—এখানে ৮ হাজার ১১ জন শিক্ষার্থী ১৭ হাজার ৪৮৯টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন।
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১১ হাজার ৪৪৭ জন, ছাত্রী ৬ লাখ ২৪ হাজার ২১৫ জন। আগের ফল অনুযায়ী মোট পাস করেছে ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন, পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফেল করেছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন, যা ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, আর ছাত্রদের ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।