ঢাকায় ১২তম চাঁপাই উৎসব রাজধানীর বুকে এক খন্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জ

51

রাজধানীর বুকে এক খন্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) চত্বর। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর এখানেই বসে ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর মিলনমেলা। নিজস্ব কৃষ্টি-কালচার নিয়ে চলে চাঁপাই উৎসব। শহরের যান্ত্রিক জীবন ভুলে একদিনের জন্য উৎসবে যোগ দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী। হাসি-আনন্দ, গান-বাজনা, খুনশুটি আর খেলাধুলা শেষে ঘরে ফিরেন সুখস্মৃতি নিয়ে।
আজও বসেছিল চাঁপাই উৎসব। এবারের উৎসব ছিল ১২তম। তাই উৎসবের এক যুগ পূর্তিকে রাঙিয়ে তুলতে কমতি ছিল না আয়োজক ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির। সকালে শুরু হয়ে উৎসব চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।
উৎসবের আকর্ষণীয় সবকিছুই। তবে আলাদা করে নজর কাড়ে সকালের নাস্তায় বেগুন ভর্তা দিয়ে কালাই রুটি; দুপুরে সাদা ভাতের সঙ্গে কালাই ডাল ও বেগুন-বড়ির ঘাঁটি; বিকেলে ঐতিহ্যবাহী আন্ধাসা পরিবেশন।
উৎসবের কর্মযজ্ঞ শুরু হয় আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই। সেদিন বিকেলেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অনুষ্ঠান স্থলে এসে পৌঁছান বাবুর্চিসহ কালাই রুটি তৈরির কারিগররা। সন্ধ্যার পর শুরু হয়ে যায় রান্নাবান্নার আয়োজন।
রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘেঁষা আইইবি চত্বরে কর্মসূচি শুরুর সময় সকাল ৮টা থাকলেও কালাই রুটি খাওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী ৭টা থেকেই ভিড় জমান। সকাল ৯টার পর প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি।
সুদৃশ্য ডাইরেক্টরির মোড়ক উন্মোচনের পর দেয়া হয় গুণীজন সম্মাননা। এবার মরণোত্তর চারজনসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১২ জন কৃতী সন্তানকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা দেয়া হয়।
সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাইয়ুম রেজা চৌধুরী, ডাইসিন কেমিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান, চাঁপাই উৎসব প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাহতাব উদ্দিন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
রিয়াদ মোস্তফার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার উজির আলী।
বিকেলে বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে ছাত্রবৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে পরিবেশিত হয় গম্ভীরা।