ডেনমার্কে মাস্ক ব্যবহারে কঠোর আইন; গ্রেপ্তারসহ জরিমানা

67

যানবহন ও স্টেশনগুলোতে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে আইন করেছে ডেনমার্ক। আইনটি গত ২২ আগস্ট  থেকে কার্যকর হওয়ার পর থেকে পুলিশ সারাদেশে অত্যন্ত কঠোরভাবে নজরদারি শুরু করেছে।

অদ্যাবধি খবর পাওয়া অনুযায়ী সারাদেশে এপর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে তিনজন, যাদের মধ্যে একজন নারী ও দুইজন পুরুষ।  প্রত্যেকেই জরিমানার বিনিময়ে মুক্তিলাভ করেছেন।

কিছুদিন স্তিমিত থাকার পরে গ্রীস্মের অবকাশকালীন সময়গুলোতে ডেনমার্কে আবার করোনাভাইরাসে সংক্রামনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় ডেনমার্কের সরকার সারাদেশে সব ধরণের পরিবহনে মুখে মাস্ক ব্যবহারের কঠোর আইন জারী করে।
আইনে স্পষ্ট বলা হয়, পরিবহনে যাতায়াতকালে এবং বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমান যাত্রীরা যদি মাস্ক ব্যবহার না করে এবং পুলিশের সাথে অসহযোগীতা করে, তাহলে তাদের প্রত্যেককে বাংলাদেশী টাকায় ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা ছাড়াও গ্রেফতার করতে পারবে।  তবে আইনটি অনুর্ধ ১২ বছরের যাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।

‘ভাইরাসটি অদৃশ্য এবং অত্যন্ত কুটিল প্রকৃতির হওয়ায় তা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।  সে কারণে এটাকে প্রতিরোধ করার সম্ভ্যাব্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমাজে দায়িত্ব’, বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেদরিসেন।

 গ্রীষ্মের সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ডেনমার্কে ভয়াবহভাবে সংক্রমণের বিস্তার বৃদ্ধির কারণে দেশটি আবার কঠোর বিধিনিষেধের মুখোমুখি হলো।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পাবলিক প্লেস ছাড়াও যানবহনগুলোতে মাস্ক ব্যবহার অতিমাত্রায় সংক্রমনের বিস্তার থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।  পরিবহনমন্ত্রী বেনি এঞ্জেলব্রেক্ট দেশের সব পরিবহন কতৃপক্ষকে মাস্কবিহীন যাত্রীদের পরিবহনে আরোহনে বাঁধা দিতে আদেশ দিয়েছেন।

২৪ ঘন্টায় মোট ৩৪১১৭ জনকে পরীক্ষা করে কোভিড -১৯ এর ১০৪টি নতুন কেস পাওয়া গেছে বলে জানায় দেশটির স্বাস্থ্যবিষয়ক মন্ত্রনালয়, যা ডেনমার্কের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে অত্যন্ত বেশি।  নতুন পরিসংখ্যানটিতে আরো দেখা যায় যে, ডেনমার্কে বসবাসরত অভিবাসীদের মধ্যেই সংক্রামণ বিস্তারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যা প্রায় ৭০% এর মত।

পার্শ্ববর্তী দেশ সুইডেন শুরু থেকেই কভিড-১৯ প্রশ্নে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিপরিত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে।  সেখানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া ছাড়া অন্যান্য কোন বিষয়েই বারন করা হয়নি এবং এজন্য বিশ্বদরবারে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় সমালোচিতও হয়েছে দেশটি।  সুইডেনে স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত খোলা রাখা হয়েছে এবং মাস্ক বা হ্যান্ডগ্লাভস পরার কোন আইন জারি করেনি।