ডিজিটাল ডিভাইসে বেশি সময় কাটালে বাড়তে পারে বিষণ্ণতা

71

ডিজিটাল ডিভাইসে এখন আসক্ত কমবেশি সবাই। বেশিরভাগ কাজই এখন যন্ত্র-নির্ভর, তা নিঃসন্দেহে ভালো। অনলাইনে কাজকর্ম থেকে শুরু করে কেনাকাটা সবকিছুই সামলান সবাই। তাই না চাইলেও ল্যাপটপ, ফোনের পর্দায় চোখ রাখতে হয় বেশি। মোবাইল-ল্যাপটপসহ ডিজিটাল সব ডিভাইসের ব্যবহারের অনেক সুবিধা থাকলেও তার অতিরিক্ত ব্যবহার মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

এছাড়া অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তিসহ মন খারাপ বাড়তে পারে। এর বেশি ব্যবহারে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা বাড়তে পারে। দিনের অধিকাংশ সময়ে মোবাইল বা ল্যাপটপে চোখ রাখলে মস্তিষ্কের মধ্যে নিউরোকেমিক্যাল উপাদানগুলির ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। যার প্রভাব হরমোনের ওপরে পরে।

প্রতিদিন নিয়ম করে কাজে যাচ্ছেন। ঘরে-বাইরে সবদিক সাধ্য মতো সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বেশির ভাগ কাজই এখন যন্ত্র-নির্ভর, তা নিঃসন্দেহে ভালো । অফিসের কাজ, বাড়ির জন্য মুদিখানার বাজার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সকল কেনাকাটা— সবই যন্ত্র-নির্ভর। তাই না চাইলেও ল্যাপটপ, ফোনের পর্দায় চোখ রাখতে হয় বেশি। সব কিছু করেও কেন যেন মন ভালো হওয়ার নাম নেই। তবে অতিরিক্ত মোবাইল-ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহারের কারণে দিনশেষে বাড়ে মন খারাপ। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকরা। আর এ কারণেই অতিরিক্ত ইলেক্টনিক্স ডিভাইস ব্যবহার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তারা।

মোবাইল বা ল্যাপটপে অতিরিক্ত চোখ রাখলে শরীরে কী হয়?

এই ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সঙ্গে অত্যধিক সময় ব্যয় করলে মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদানগুলির ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। আবেগ নিয়ন্ত্রণ, আচরণেও সমস্যা হতে পারে। উদ্বেগ, অনিদ্রা থেকে স্থূলতাসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্টিসল হরমোন যা স্ট্রেস বায়োমার্কারের মতো কাজ করে এটি স্ক্রিনটাইম বাড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।
কর্টিসল হরমোন মন খারাপ বাড়িয়ে দেয়। যা সবার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ইনসুলিন প্রতিরোধ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা, অনিদ্রা, মাথাব্যথা, চোখের স্ট্রেন, শুষ্ক চোখ, বসে থাকার অভ্যাস, বিষণ্ণতা ও আত্মঘাতী আচরণ সবই মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
এছাড়া অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তিসহ মন খারাপ বাড়তে পারে। তাই প্রতিদিন ২ ঘণ্টা স্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞরা। এর বেশি ব্যবহারে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা বাড়তে পারে।