ডাক্তার ছাড়া অন্য কেউ সিজারিয়ান করলে শাস্তির সুপারিশ

311

দেশে ভুয়া ডাক্তার ও ভুইঁফোড় ক্লিনিকে সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ও ডাক্তার ছাড়াই সিজারিয়ান করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া দুই বছরেও গ্র্যাজুয়েট অকুপেশনাল থেরাপিস্ট পদ সৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কমিটি। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজরদারি বৃদ্ধি এবং নিবন্ধিত ও ডিগ্রিধারী ডাক্তার ছাড়া অন্য কেউ সিজারিয়ান করলে তাদের গ্রেফতারের পাশাপাশি শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সংসদ ভবনে রবিবার অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২১তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, মো. আব্দুল ওদুদ, সেলিনা বেগম এমপি বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে কমিটির সভাপতি সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার ভুয়া ডাক্তারের বিচার নিশ্চিত করাসহ হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডাক্তার ছাড়া সিজারিয়ান বন্ধে কী করা হয়েছে জানতে চান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভুয়া ডাক্তার ও ভুইঁফোড় ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া নারীদের ডেলিভারির ক্ষেত্রে সিজারিয়ান কমিয়ে আনতে নানা কর্মসূচি চলমান আছে। সংসদ সচিবালয় জানায়, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, কমিটির সুপারিশের আলোকে অটিজম ও স্নায়ু রোগীদের চিকিৎসার্থে গ্র্যাজুয়েট অকুপেশনাল থেরাপিস্ট পদ সৃষ্টির প্রস্তাব এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য আটকে আছে। কমিটি এসময় মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় মিটিং করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। এছাড়া বৈঠকে মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) গোপালগঞ্জ প্রকল্পটি উদ্বোধন করার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।