টেস্ট দিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করবেন সাকিব

461

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে অসাধারণ ভুমিকা রেখেছিলেন । বলতে গেলে একাই তিনি হারিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৮৪ রান করার পাশাপাশি দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ২০ উইকেট। বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২০ রানের ব্যবধানে। চট্টগ্রামে সাবিক ছিলেন নিষ্প্রভ। বাংলাদেশও জ্বলে উঠতে পারেনি। হেরে গেছে। এমন এক পারফরমারের ওপর যখন পুরো দলই নির্ভরশীল, তখন তিনিই কি না দক্ষিণ আফ্রিকার মত গুরুত্বপূর্ণ একটি সফরে টেস্ট সিরিজে খেলবেন না। নিজেই ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন বিসিবির কাছে। বিসিবিও তার আবেদন কবুল করে নিয়েছে। তাকে বাদ দিয়েই তাই ১৪ সদস্যের টেস্ট দল ঘোষণা করা হয়েছে। সাকিবের হঠাৎ এভাবে ছুটিতে যাওয়ায় চার দিকে তুমুল গুঞ্জন শুরু হয়। তবে কী সাকিব ধীরে ধীরে ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। নাকি টেস্ট বাদ দিয়ে ধীরে ধীরে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টির দিকে সবচেয়ে বেশি মনযোগি হচ্ছেন? বিভিন্ন দেশে যেভাবে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে বেড়ান, তাতে টি-টোয়েন্টিকে প্রাধান্য দেয়াটা অস্বাভাবিক কিছুই নয়। কিন্তু সব জ্বল্পনা-কল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন সাকিব। আজ নিজের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাকিব জানালেন, ‘আমি ৬ মাসের জন্য বিশ্রাম নিলে যদি আরও ৫ বছর বেশি খেলতে পারি, তাহলে সেটাই ভালো নয় কি!’ এক সময় সাকিবের কাছে প্রশ্নই তুলে ধরা হলো, টেস্টে ফিরবেন তো?প্রশ্ন শুনে সাকিব বললেন, ‘এমন তো নয় যে আমি আর ক্রিকেটই খেলছি না! অবশ্যই খেলব। কেন খেলব না! আমার ইচ্ছে আছে, সবার পরে টেস্ট থেকে অবসর নেব। তার আগে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে থেকে অবসর নেব। সবার শেষে টেস্ট থেকে। তবে আমার মনের কথা সবসময় সবাইকে বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না। আমার ভেতরে কি আছে, আমি জানি। এবং লোকে যেমন সচেতন, আমিও সচেতন যে কী করলে ভালো হয়, কী করা যায়। আমি ওভাবেই চেষ্টা করব। গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে যে, আমার কাছে মনে হয় স্রেফ খেলার জন্য ২-১ বছর খেলার থেকে ৫ বছর মন দিয়ে খেলা বেশি জরুরী।’