টেল এন্ডারদের ব্যাটে বাড়ছে জিম্বাবুয়ের লিড
টেল এন্ডারদের ব্যাটে বাড়ছে জিম্বাবুয়ের লিড। বিশেষ করে এনগারাবা-মুজারাবানি জুটি। দুজনে ৩৬ রান যোগ করেছেন। ১৬ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেলে সাজঘরে ফেরেন মুজারবানি। এখন এনগারাবার সঙ্গী নাইউচি। লিড ৭২।
এবার মিরাজের শিকার মাসাকাদজা
মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত মায়াভো। বল পিচড হয়েই সোজা লাগে পায়ে। ব্যাট চালাতে কিছুটা দেরি করে ফেলেন মায়াভো। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেননি। ৩৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ক্রিজে মাসাকাদজার সঙ্গী এনগারাবা।
পিছিয়ে থেকে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ
প্রথম সেশনে চার উইকেট নিলেও দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ২ উইকেট নিতে পেরেছেন নাহিদ রানারা। লিড নিয়ে সেশন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে তাদের লিড ২২ রান। মায়াভো ৩১ ও মাসাকাদজা ২ রানে অপরাজিত। লিড ১৩ রান।
লিড এনে দিয়ে সাজঘরে উইলিয়ামস
জিম্বাবুয়েকে লিড এনে দিয়ে বিদায় নিলেন উইলিয়ামস। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫৯ রান। মিরাজকে ছক্কা মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনে। উইলিয়ামস এক প্রান্তে আগলে রাখেন। বাংলাদেশের বোলারদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান তিনি। আউট হওয়ার পর যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না এই বাঁহাতি ব্যাটারের। মিরাজের এটি প্রথম উইকেট। ক্রিজে মায়াভোর সঙ্গী মাসাকাদজা।
বাংলাদেশের রান টপকে জিম্বাবুয়ের লিড
প্রথম ইনিংসে করা বাংলাদেশের ১৯১ রান টপকে গেছে জিম্বাবুয়ে। ৫২.৪ ওভারে মিরাজকে চারের মারে লিড টপকে যায় সফরকারীরা। নতুন ব্যাটার মায়াভোকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছেন ফিফটি হাঁকানো উইলিয়ামস। দ্বিতীয় সেশনে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
মাধেভেরেকে বোল্ড করে খালেদের ব্রেক থ্রু
ফিফট স্ট্যাম্পে করা খালেদের ব্যাক অব লেন্থের ডেলিভারি রুখতে গিয়ে বিপাকে পড়েন মাধেভেরে। বল ব্যাটে লেগে আঘাত করে উইকেটে। ২৪ রানে ফেরেন মাধেভেরে। ভেঙে যায় ৪৮ রানের জুটি। লম্বা বিরতির পর ব্রেক থ্রু এনে দিয়ে স্বস্তি ফেরালেন খালেদ। ক্রিজে উইলিয়ামসের সঙ্গী মায়াভো।
উইলিয়ামসের ফিফটি, লিডের পথে এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে
আরভিন ফেরার পর মাধেভেরের সঙ্গে জুটি গড়ে এগোতে থাকেন উইলিয়ামস। দুজনের জুটির ফিফটির আগে ফিফটি তুলে নেন উইলিয়ামস। ৮৭ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান এই বাঁহাতি। দুজনের জুটিতে ভর করে লিডের পথে এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনে এখন পর্যন্ত কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা।
রানার তোপে প্রথম সেশন বাংলাদেশের
বিনা উইকেটে ৫৭ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম সেশন শেষ হতে হতে তাদের উইকেট পড়ে যায় চারটি। বাংলাদেশ থেকে এখনো পিছিয়ে আছে ৫৮ রানে। নাহিদা রানা শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক বোলিং করে যাচ্ছেন। একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১ উইকেট নেন হাসান। উইলিয়ামস ৩৩ ও মাধভেরে ৪ রানে ব্যাট করছেন।
জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরালেন রানা
তৃতীয় উইকেটের পতনের পর প্রতিরোধ গড়েন আরভিন-উইলিয়ামস। দুজনে এগোচ্ছিলেন সাবলীলভাবে। কয়েকটা হাফ চান্স দিলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। অবশেষে নাহিদ রানা এসে জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরান। রানার ব্যাক অব লেন্থ ডেলিভারিতে খোঁচা দেন আরভিন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৮ রান। ক্রিজে উইলিয়মাসের সঙ্গী মাধভেরে।
রানার পর হাসান, স্ট্যাম্প উড়লো ওয়েলচের
রানার শর্ট বলে পরাস্ত হন দারুণ খেলতে থাকা বেনেট। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে, জাকের আলীর হাতে। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। নিজের প্রথম ফিফটি পেয়েছেন ৫৬ বলে। বেনেটের আউটের পরই সাজঘরে ফেরেন নিক ওয়েলচ। হাসানের তোপে স্ট্যাম্প উড়ে যায় তার। শন উইলিয়ামস-ক্রেইগ আরভিন প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন। দুজনের ব্যাটে ২৪.৫ ওভারে শতরানের ঘর স্পর্শ করে জিম্বাবুয়ে।
দিনের শুরুতেই নাহিদ রানার আঘাত
উইকেটের খোঁজে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। অবশেষে দেখা মিলল। নাহিদ রানার শর্ট বলে পরাস্ত হলেন ওপেনার কারান। লেগ স্ট্যাম্পে ছোঁড়া শর্ট বলে এক্সট্রা বাউন্স হয়েছিল, জায়গা থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন কারান। কিন্তু দেরি হয়ে যায়, বল খোঁচা লেগে চলে যায় শর্ট লেগে। ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নেন মমিনুল হক। ১৬ রানে ফিরলেন কারান, ৬৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে বেনেটের সঙ্গী ওয়েলচ।
এগিয়ে থেকে জিম্বাবুয়ের শুরু
সিলেট টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের ভালো যায়নি। ব্যাটে-বলে দারুণ দিন কেটেছে জিম্বাবুয়ের। গতকাল শেষ বিকেলে বাংলাদেশ কোনো উইকেট নিতে পারেনি। ১২৪ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমেছে সফরকারীরা। বেনেট ৪০ ও কারান ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছেন। লড়াইয়ে থাকতে হলে বাংলাদেশের দ্রুত উইকেট নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই
প্রথম দিন শেষে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে
যেই উইকেটে খাবি খেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেখানে আলো ছড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ড ৬৭ রান জমা করে দিন শেষ করে সফরকারীরা। বেনেট ৪০ ও কারান ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। চার বোলার ১৪.১ ওভার বোলিং করে কোনো উইকেটের দেখা পাননি। এর আগে ১৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশে ১৯১!
চা বিরতিতে যাওয়ার আগে জাকের-হাসান প্রতিরোধ গড়েছিলেন। বিরতির পর দুজনে এসে লড়াই করতে থাকেন। এগোচ্ছিলেন সাবলীলভাবে। হঠাৎ আউট হন হাসান। ১৯ রানে হাসান আউট হলে ভাঙে জাকেরর সঙ্গে গড়া জুটি। এরপর জাকেরও ফেরেন ২৮ রানে। এই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশ মাত্র ৪ রান করতে পারে। দ্বিতীয় সেশনে ৫ উইকেট হারিয়ে মূলত বাংলাদেশের ছন্দপতন ঘটে। সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মমিনুল হক। ৪০ আসে শান্তর ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন মুজারাবানি-মাসাকাদজা।