টিকইল আল্পনা গ্রামে সোলার স্ট্রিট লাইটের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

126

নাচোলের নেজামপুর ইউনিয়নের টিকইল আল্পনা গ্রামে স্ট্রিট সোলার লাইটের উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় গ্রামটিতে ১৭টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়। আজ বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোনো গ্রাম অন্ধকারে থাকবে না, সকল গ্রাম আলোকিত হবে। কোনো গ্রামে ক্ষুধা-দারিদ্র্য থাকবে না। গ্রামে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা সহজলভ্য করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আমরা গ্রামকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। তাছাড়া গ্রামগুলোই বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কেননা সারা দেশে গ্রামের সংখ্যা ৮৭ হাজারের উপরে। যদি গ্রাম থেকে শাক-সবজি শহরে না যায় তাহলে ঢাকা শহরের হাহাকার পড়ে যায়।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহা. আবদুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.কে.এম. তাজকির-উজ-জামান, নাচোল উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শামসুল আলম ও নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল হক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু, টিকইল আল্পনা গ্রামের রিমা বর্মন ও ধীরেন্দ্রনাথ বর্মন।

এ জেড এম নূরুল হক বলেন, জেলার ১ হাজার ১৩৫টি গ্রামের মধ্যে আমরা এই গ্রামকে ১ নম্বরে রেখেছি। কারণ আপনাদের মেধা, রুচিবোধ এবং পরিশ্রম। তিনি বলেন, আমরা দেখলাম দেখন বর্মন তার বাড়িকে সুন্দর করে সাজিয়েছেন। এজন্য তিনি জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি এবং সম্মান লাভ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা এখানে এসে আপনাদের সমস্যাগুলো দেখলাম। সেগুলো মাথায় রেখে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করব।

জেলা প্রশাসক বলেন, আপনারা যারা সরকারের খাস জমিতে বসবাস করছেন, আমি কথা দিচ্ছি যত দ্রæত সম্ভব আপনাদের জমির মালিকানা বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। তিনি বলেন, যাদের জমি আছে কিন্তু টাকার জন্য বাড়ি করতে পারছে না আমরা তাদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দিব। আপনাদের ইউনিয়নেই ৫১টি পাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে, চেষ্টা করব বাকি সবাইকে করে দেয়ার। আমরা এখানে লাইব্রেরি ও টয়লেট নির্মাণ করে দিব এবং এখানে যে পুকুরগুলো আছে সেগুলো সংরক্ষণ করার চেষ্টা করব। এ সময় তিনি দেখন বর্মনের বাড়ির জমির মালিকানা তার ও তার মেয়েদের নামে করে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন।

এর আগে জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক যে নারীর কারণে টিকইল আল্পনা গ্রামের পরিচিতি, সেই দেখন বর্মনের বাড়িতে যান। এ সময় দেখন বর্মনের পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসকের গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে তাকে স্বাগত জানন।