ঝকঝকে দাঁত ঘরোয়া পদ্ধতিতে

473

মুখের সবথেকে সুন্দর অংশ হল দাঁত। এই দাঁত সুন্দর, ঝকঝকে আর পরিষ্কার থাকার অর্থই হল আত্মবিশ্বাস। অন্য মানুষের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা আরও খানিকটা বাড়িয়ে নেওয়া। তাই দাঁত সুন্দর রাখার বিষয়ে নো কমপ্রোমাইজেশন। কেন না এই সুন্দর দাঁত আপনাকে এগিয়ে দিতে পারে যে কোনও প্রতিযোগিতায়। প্রিয়জনের কাছে হয়ে উঠতে পারে আরও খানিকটা প্রিয়। কিন্তু কীভাবে পাবেন এই সুন্দর দাঁত? এবার জেনে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে নিজের দাঁত আরও সুন্দর করে তুলবেন।
প্রথমেই যেটা বলা দরকার। খাওয়ার আগে এবং পরে প্রতিদিন দুই বেলা করে ব্রাশ করুন। খাওয়ার পরে দাঁতের গোড়ায় এবং মাড়িতে অনেক সময় খাওয়ার টুকরো লেগে থাকে। যা পরবর্তীকালে পচে গিয়ে দাঁতের উপর একটা হলুদ আস্তরণ ফেলে দেয়। পরিষ্কার দাঁত চাইলে সিগারেট টানা বন্ধ করুন। সিগারেটে প্রচুর পরিমাণে নিকোটিন থাকে। যা দাঁতের উপর হলদে আস্তরণ ফেলে দেয়। অ্যালকোহলও দাঁতের ক্ষতি করে। তাই মদ্যপানেও রাশ টানুন।
প্রতিদিন ব্রাশ করার পরে দাঁতে এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘষতে থাকুন। এতে যে শুধু আপনার দাঁত পরিষ্কার হবে তা নয় বরং দাতেঁর রংও ফিরবে।শুধু লেবু নয়, নুনও বেশ ভাল কাজ করে দাঁত পরিষ্কার করতে। দাঁত মাজা হয়ে গেলে হাতের আঙ্গুলের ডগায় অল্প লবণ নিয়ে দাঁতে ঘষে নিন। এতে দাঁতের গোড়া হবে শক্ত ও মজবুত। ফিরবে দাঁতে রংও।
নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতের গোড়া শক্ত ও পরিষ্কার হয়। এখনও বহু জায়গায় মানুষরা দাঁত মাজতে নিমের ডাল ব্যবহার করে।দিনে দু’বার কলার খোসা নিয়ে ৫ মিনিট ধরে দাঁতে ঘষুন। ৭ দিনের মধ্যে আপনি আপনার দাঁতের রংয়ে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। দাঁত সাদা করার আরও একটি কার্যকর পদ্ধতি হল বেকিং সোডার ব্যবহার। আপনার ব্যবহৃত টুথপেস্টের সঙ্গে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন এবং সেটি দিয়ে আপনার দাঁত ব্রাশ করুন। অল্প সময়েই আপনি আপনার দাঁতের রংয়ের পরিবর্তন চোখে পড়বে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করলেও দাঁতের উজ্জ্বলতা ফিরে পাওয়া যায়। উপরের সমস্ত জিনিস তো রয়েছেই, সঙ্গে আপনার রোজকার রুটিনে রাখতে হবে পতঞ্জলি দন্ত কান্তি টুথপেস্ট-কেও। কেন না এই টুথপেস্টে রয়েছে নিম, বাবুল, পুদিনা, হলদি, লবঙ্গ, মরিচ, বকুলের মতো প্রচুর মূল্যবান জরিবুটি। যা শুধু দাঁতকে উজ্জ্বল ও পরিষ্কারই রাখে না। মুখের দূর্গন্ধ দূর করে। দাঁত ও মাড়িকে করে তোলে শক্ত ও মজবুত।