জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

133

গণশুনানি না করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব ও উপ-সচিব এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

আদালতে শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইনের বিধান লঙ্ঘন করেছে। আইনে আছে, গণশুনানি করতে হবে, তারপর দাম বৃদ্ধি করতে পারবে বিইআরসি। এখানে দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গণশুনানি হয়নি। দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির একমাত্র এখতিয়ার বিইআরসির।’

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের বিধি অনুমোদিত হয়নি। যে কারণে আইনের বিধান অনুসারে কমিশনের এখানে গণশুনানির সুযোগ নেই। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। সরকারের সিদ্ধান্তে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে।’ শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন।

গত ৮ আগস্ট ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের দাম বৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। জ্বালানি সচিব, জ্বালানি উপ-সচিব ও বিইআরসির চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী করা হয়।

ডলার সংকট এবং বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে গত ৫ আগস্ট রাতে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।