এরপর আর কোনো সাফল্য মেলেনি শেখ জামালের। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে মেহরাব হোসেন জুনিয়রের সঙ্গে ১১১ রানের জুটিতে দলের দারুণ জয় নিশ্চিত করেন আশরাফুল।চলতি লিগে নিজের প্রথম অর্ধশতক পাওয়া আশরাফুল অপরাজিত থাকেন ৮১ রানে। তার ৮৭ বলের ইনিংসটি গড়া ৬টি চার ও দুটি ছক্কায়। চমৎকার এই ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মেহরাব জুনিয়র ৫৪ বলে দুটি ছক্কা ও একটি চারে অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে।
এর আগে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে শেখ জামাল। সোহাগ গাজীর সঙ্গে ৫১ রানের জুটিতে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন রাজিন সালেহ। ইলিয়াস সানির সঙ্গে অধিনায়কের ৬৭ রানের আরেকটি ভালো জুটিতে দুইশ ছাড়ায় দলটির সংগ্রহ।
৭১ বলে একটি করে ছক্কা-চারে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন রাজিন। সোহাগ ফিরেন ৩৯ রানে। তিনটি চারে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন সানি। তাদের এই প্রচেষ্টার পরও লড়াইয়ের পুঁজি পায়নি শেখ জামাল।৫০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কলাবাগানের সেরা বোলার আবুল হাসান। সাদ নাসিম ও মুক্তার আলী নেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব: ৪৫ ওভারে ২১৩/৯ (মাহমুদ ১১, মাহবুবুল ৩২, চোপড়া ০, আল মামুন ১৪, তানবীর ৫, রাজিন ৪৫, সোহাগ ৩৯, সানি ৩৬*, শাকিল ১, শাহাদাত ৫*; সঞ্জিত ০/৩৭, আশরাফুল ০/১১, হাসান ৩/৫০, নাসিম ২/৩০, মুক্তার ২/৪৮, নাবিল ০/৩৫)
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র: ৪৩.৩ ওভারে ২১৪/৩ (তাসামুল ৪৮, জসিম ২৯, আশরাফুল ৮১*, তুষার ১০, মেহরাব জুনিয়র ৪৩*; শাহাদাত ০/৩০, জিয়া ০/২৮, সোহাগ ০/৪৫, সানি ০/৩৬, তানবীর ১/৩২, শাকিল ১/৪৩)
ফল: কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ আশরাফুল