জেলায় ২ লক্ষাধিক শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল

241

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা ও ৪৫টি ইউনিয়ন এলাকায় শতভাগ লক্ষ্যমাত্রায় ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ১হাজার ৯’শ ৭১ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী জেলায় ২য় রাউন্ডে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আজ সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ফেরদৌস খাইরুল আতাতুর্কের সভাপতিত্বে সভায় উপস্তিত ছিলেন, সিনিয়র শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসুন্নাহার, ইপিআই কর্মকর্তা আমিরুল মোমেনিন জীবনসহ অন্যান্যরা। মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডা: সাইফুল ফেরদৌস খাইরুল আতাতুর্ক বলেন,ভিটামিন এ ক্যাপসুল মানব শরীরে তৈরি হয় না। তাই বাইরে থেকে দিতে হয়। আর এই ক্যাপসুল খাওয়ার পরে শুধু রাতকানা রোগই নয় বরং খেলে ডায়রিয়া রোগ পাঁচ দিনের পরিবর্তে ১ দিন স্থায়ী হবে, শিশুকে বেটে হওয়া থেকে রক্ষা করে ও শরীর বৃদ্ধি পায় ও লম্বা হয়। আর প্লাস বলা হচ্ছে একারণে যে, ৬ মাস পর শিশুকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়ির তৈরি খাবার দিতে পারবেন। মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সরকার ঝুঁকি নিতে চাননি। যেহেতু ছোট বাচ্চাদের জন্য ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল। সরকার ব্যবস্থা নিয়েছেন। শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে, শিশুর পুষ্টি পূরণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী ২৪ হাজার ৩০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ১লক্ষ ৭৭ হাজর ৯’শ ৪১ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ লক্ষ্যে জেলায় ভ্রাম্যমাণসহ ১ হাজার ২’শ ১টি কেন্দ্রে কাজ করবেন ৪’শ ২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ হাজার ৪’শ ২জন স্বেচ্ছাসেবক। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নে এই সভার আয়োজন করে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।